English

23 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

টয়লেট ফ্লাশ করার সঠিক নিয়ম, যা জানলে সুস্থ থাকবেন

- Advertisements -

সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি অপরিহার্য। আর সেই তালিকার শীর্ষে আসে টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা। অনেকের বাড়িতে দেখা যায়, টয়লেট মাসের পর মাস পরিষ্কার করা হয় না, এবং পুরো বাথরুমে হলুদ দাগ পড়ে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের ওপর।

টয়লেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস। ফলে ডায়রিয়া, প্রস্রাবের সংক্রমণ বা টাইফয়েডের মতো গুরুতর রোগ হতে পারে।

বিশ্ব টয়লেট দিবসে চলুন জেনে নেওয়া যাক টয়লেটের হাইজিন রক্ষা করবেন যেভাবে-

ফ্লাশ করার সঠিক উপায়

১. ফ্লাশ মানে শুধু বোতাম টিপে দেওয়া নয়। পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে সঠিক নিয়মে ফ্লাশ করা জরুরি। টয়লেট কভার নামিয়ে ফ্লাশ করা উচিত, কারণ ঢাকনা না রাখলে ফ্লাশের পানি জীবাণু বহন করে বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বাথরুমে থাকা টুথব্রাশ, তোয়ালে, সাবান বা অন্যান্য জিনিসপত্রের উপর জমা হতে পারে সেই সব ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া।

২. দুর্গন্ধ এবং ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে টয়লেট ব্যবহার শেষ হওয়ার পরেই ফ্লাশ করা উচিত। ফ্লাশ করার সঙ্গে সঙ্গে জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে যেতে পারে, তাই সঠিকভাবে ঢাকনা নামানো গুরুত্বপূর্ণ।

৩. টয়লেটে টিস্যু পেপার, স্যানিটারি সামগ্রী বা অন্য কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফ্লাশ করা উচিত নয়। এসব জিনিস টয়লেট এবং ড্রেন পাইপকে আটকে দিতে পারে, ফলে ব্যবহারে সমস্যা তৈরি হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪. টয়লেট জীবাণুদের আস্তানা। তাই সপ্তাহে অন্তত দুইবার জীবাণুনাশক দিয়ে সিট, ফ্লাশ বোতাম, দরজার হাতল, ট্যাপ ও ফ্লোর ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা
টয়লেট ব্যবহারের পরে প্রতিবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ। না হলে জীবাণু হাতে থেকে যেতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। হাত ধোয়ার সময় আঙুলের ফাঁক, নখের নিচের অংশ সবকিছু ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।

নিজের তোয়ালে আলাদা রাখুন। টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত মোছার জন্য প্রত্যেকের আলাদা আলাদা তোয়ালে রাখা উচিত। ভেজা তোয়ালে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে। তাই তা নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং রোদে শুকানো প্রয়োজন। অন্যের তোয়ালে ব্যবহার না করাই ভালো। এতে অনান্য নানা সংক্রমিত রোগ (যেমন – এসটিডি, ভাইরাসের সংক্রমণ, ত্বকের রোগ) ছড়াতে পারে।

অফিসের টয়লেট ব্যবহারে সতর্কতা
অফিসের টয়লেট যেহেতু অনেকের ব্যবহারে থাকে, তাই সিটে বসার আগে জীবাণুনাশক স্প্রে করা এক ভালো অভ্যাস। যদি স্প্রে না থাকে, টিস্যু পেপার বিছিয়ে বসুন, এতে কমোডের সঙ্গে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ কমে এবং জীবাণুর ঝুঁকি কমে। ব্যবহারের পর টিস্যু ফেলে দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

অফিসের টয়লেট বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি ভেতরে কেউ থাকে, বারবার নক না করে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। এছাড়া টয়লেটে ফোন বা অন্য জিনিস নেওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে জীবাণু লাগার আশঙ্কা বাড়ে। স্যানিটারি ন্যাপকিন সব সময় নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত। যাতে টয়লেট পরিষ্কার ও হাইজিন বজায় থাকে।

ছোট ছোট এই অভ্যাসগুলো মানলেই সংক্রমণ ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। পরিচ্ছন্ন টয়লেট, সঠিক ফ্লাশ ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া-এগুলোই আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/05nd
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন