নাসিম রুমি: ২০০০ সালে জেপি দত্তার হাত ধরে ‘রিফিউজি’ সিনেমার সুবাদে বলিউডে শিকে ছেঁড়েন অভিষেক বচ্চন। সেই ছবি বক্স অফিসে খুব একটা শোরগোল না ফেললেও সিনেসমালোচকদের কলমে প্রশংসিত হয়েছিল। এরপর বিগত দেড় দশকে অভিনেতা হিসেবে একাধিকবার ভিন্ন চরিত্রে ‘এক্সপেরিমেন্টে’র পথে হেঁটেছেন অভিষেক বচ্চন।
তবে বক্স অফিস নম্বরের ক্ষেত্রে তা খুব একটা ফলপ্রসূ যেমন হয়নি, তেমনই ‘নায়ক’ জুনিয়র বচ্চনের কেরিয়ারে ‘ফ্লপ’ তকমাও শুনতে হয়েছে। এবার পঁচিশ বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে যখন ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে ‘সেরা অভিনেতা’র পুরস্কার পেলেন তখন সেই বিষয়টি নিয়েও কম জলঘোলা হচ্ছে না নেটভুবনে!
সম্প্রতি জনৈক নেটিজেন অভিষেকের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘ব্যক্তি অভিষেক যতই স্নেহশীল হোন না কেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি, ফিল্মি দুনিয়ার জনসংযোগের অতিরিক্ত চাপ পেশাগতজীবনে কীভাবে অভিষেক বচ্চনের উপর প্রভাব ফেলেছে।
তার সাম্প্রতিক উদাহরণ ফিল্মফেয়ারের পুরস্কার কেনা। যার কেরিয়ারে নিজস্ব কোনও ব্লকবাস্টার সিনেমার উদাহরণ নেই, সেই অভিনেতা কিনা এবার আই ওয়ান্ট টু টক ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেলেন!’ ওই পোস্টে সায় দিয়ে নেটপাড়ার একাংশের কটাক্ষ, ‘ঘুষ দিয়েই ফিল্মফেয়ার পুরস্কার কিনেছেন অভিষেক।’ এহেন কটুক্তি, সমালোচনা নজর এড়ায়নি অভিনেতার।
পালটা এক্স হ্যান্ডেলে ওই সমালোচকের উদ্দেশে অভিষেক বচ্চন লেখেন, ‘স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই যে, না কোনওদিন টাকা দিয়ে আমাকে পুরস্কার কিনতে হয়েছে, না জনসংযোগের মারাত্মক কোনও চাপ আমার উপর রয়েছে। এটা শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম, রক্ত, ঘাম এবং অশ্রুকণার ফল।
কিন্তু আমি যা বললাম, লিখলাম, সেটা আদৌ আপনার বিশ্বাস হবে কিনা সন্দেহ। তাই আপনাদের মতো লোকদের মুখ বন্ধ করার জন্য আরও অনেক কাজ করে যেতে হবে। যাতে ভভিষ্যতে আর কেউ আমার পুরস্কার পাওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ প্রকাশ করতে না পারেন। শ্রদ্ধা নিয়েই বলছি, আপনাকে ভুল প্রমাণিত করে দেখাব!’
