ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসরায়েলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ছয়টি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হাইফা, আল-নাকাব মরুভূমি, উম্ম আল-রাশরাশ (ইলাত) এবং বীর আল-সাবে।
হুথির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অবরোধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ফিলিস্তিনকে ধ্বংসের যে চেষ্টায় গণহত্যা, অনাহার এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ঘটানো হচ্ছে, তা গোটা আরব ও ইসলামি বিশ্বের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।
এর আগে গত শুক্রবার হুথি লদ বিমানবন্দর (আল-লিদ), বীর আল-সাবে এবং আশকালানে তিনটি লক্ষ্যবস্তুতে তিনটি ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। সারি দাবি করেন, এই হামলাগুলো তাদের লক্ষ্য সফলভাবে পূরণ করেছে।
একই সঙ্গে হুথি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করেছে। যাতে তারা ইসরায়েলের বন্দরগুলোর সঙ্গে লেনদেন অবিলম্বে বন্ধ করে। আর না করলে তাদের জাহাজকে টার্গেট করা হবে।
ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ আবদুল-মালিক আল-হুথি গত বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে জানান, ইসরায়েল-সংক্রান্ত নৌপরিবহন অবরোধ কার্যকরভাবে চলমান এবং এর ফলে উম্ম আল-রাশরাশ (ইলাত) বন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি জানান, গত সপ্তাহে ইয়েমেন ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ছিল আল-লিদ বিমানবন্দর, হাইফা, আশকালান এবং ইয়াফার লক্ষ্যবস্তু, পাশাপাশি লোহিত সাগরের উত্তরাঞ্চলে নৌ অভিযান।