English

28.4 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ৬, ২০২৫
- Advertisement -

বিষয়টি তদন্ত করা হোক: অবৈধ স্থাপনা রেখে খাল খনন

- Advertisements -

সারা দেশেই ছোট ছোট নদী বা খালের অবস্থা শোচনীয়। দখল, দূষণ ও ভরাটের কবলে পড়ে এসব নদী-খালে পানির প্রবাহ থাকে না বললেই চলে। সরকার এসব নদী-খাল খননে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। কিন্তু এসব খননকাজ নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরসংলগ্ন হক ক্যানেল (মরা মধুমতী) খনন নিয়েও স্থানীয় লোকজনের রয়েছে নানা অভিযোগ। খালটি এখন পানিতে থইথই। এর মধ্যেই ভাসমান এক্সকাভেটর দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে। খালের তলদেশ কতটা খনন করা হচ্ছে, কতটা স্লোপ রাখা হচ্ছে—কিছুই দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন মনে করে, দায়সারা খননের ফলে এই খালের ব্যবহার উপযোগিতা মোটেও বাড়বে না। এ ছাড়া কাজের পরিমাপ, বাজেট ও অন্যান্য বিবরণসংবলিত সাইনবোর্ড রাখার নিয়ম থাকলেও এখানে তা করা হয়নি। সর্বোপরি খালের তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই খাল খননের ফলে খননকাজের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে।
কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে খালটি একসময় সেচকাজের প্রধান উৎস ছিল। কিন্তু খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন শুষ্ক মৌসুমে তাতে পানি থাকে না। স্থানীয় লোকজন আশা করেছিল, খননের ফলে আবার খালটিতে সারা বছর পানির প্রবাহ থাকবে এবং কৃষিকাজে সেচের অন্যতম উৎস হবে।
কিন্তু খননের ধরন দেখে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একজন প্রকৌশলী খালের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা থাকার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, দুই বছর আগে তাঁরা অবৈধ স্থাপনার তালিকা করেছিলেন। যে স্থাপনাগুলো রয়ে গেছে, সেগুলো ওই তালিকায় নেই।
কারণ এগুলো তালিকা করার পর বানানো হয়েছে। নতুন করে আবার তালিকা করা হবে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। পাউবোর বক্তব্য আমাদের হতাশ করেছে। যদি খাল রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে বিপুল অর্থ ব্যয়ে খাল খনন করে লাভ কী? বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অনেক মানুষ খাল দখল করে স্থাপনা বানায়, বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে, মাটি ভরাট করে রাস্তা বানায়। এসব দেখার দায়িত্ব কার?
বাগেরহাটের চিতলমারীতে খাল খনন নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, আমরা মনে করি তার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। আমরা চাই, তাদের অভিযোগগুলো দ্রুত তদন্ত করে দেখা হোক। খননকাজে কোনো ধরনের অনিয়ম রয়েছে কি না, বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও ঠিকাদারের মধ্যে কোনো ধরনের অনৈতিক যোগসাজশ আছে কি না, সেসবও তদন্ত করে দেখতে হবে। আমরা চাই, জনগণের অর্থের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার হোক।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/0llx
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন