English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

প্রথম ধাপের বিধিনিষেধে চলবে ১২-১৩ এপ্রিল: ওবায়দুল কাদের

- Advertisements -

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের বিধিনিষেধ আজ শেষ হচ্ছে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে অপেক্ষাকৃত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন। এর মাঝের ২ দিন, ১২ ও ১৩ এপ্রিল, প্রথম ধাপের ধারাবাহিকতায় চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপের ‘চলমান লকডাউনের’ ধারাবাহিকতা চলবে ১২ ও ১৩ এপ্রিল।’

রোববার (১১ এপ্রিল) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

Advertisements

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়।

বিধিনিষেধের সময়ে পালনের জন্য ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে।

বিধিনিষেধ শুরু হলে গণপরিবহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন খোলা থাকা সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মীরা। গণপরিবহন না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। একই সঙ্গে দোকান ও মার্কেট খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন মালিক-শ্রমিকরা।

এরই মধ্যে গত ৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু করে দেয়া হয়। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল করছে বাস। তবে শপিংমল ও দোকান মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলন চলছিল।

শেষে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে বলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

Advertisements

এর মধ্যে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু এতেও কমেনি জনগণের উদাসীনতা। এ অবস্থায় জনস্বার্থে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

পরে শুক্রবার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য এই লকডাউন দেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্পকারখানাও।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীসহ সারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ সময়ে পাঁচ হাজার ৩৪৩ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন