নাসিম রুমি: গত তিন দশকের কঠোর পরিশ্রমের ফল। অবশেষে জাতীয় পুরস্কার এল শাহরুখ খানের ঝুলিতে। শুক্রবার সন্ধে থেকেই আসমুদ্রহিমাচলের বাদশা অনুরাগীরা উচ্ছ্বসিত। কারণ, বিগত তিন দশক ধরে বলিউডের উত্থান-পতনের সাক্ষী থাকা মানুষটি, অতিমারী উত্তর পর্বে একা লড়ে বক্স অফিসের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী করা মানুষটির হাতে অবশেষে জাতীয় স্বীকৃতি এল। অতঃপর অনুরাগীদের অ্যাড্রিনালিন রাশ তুঙ্গে। আর জাতীয় পুরস্কার পেয়েই এই সম্মান ভক্তদের উৎসর্গ করলেন কিং খান।
সম্প্রতি ‘কিং’ সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে ডান হাতে গুরুতর চোট পেয়েছেন বলিউড বাদশা। সেই প্রেক্ষিতেই চিকিৎসকরা মাস দুয়েক বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলিউড সুপারস্টারকে। আপাতত শুটিং বন্ধ। এমন আবহেই শুক্রবার সেই সুখবর এল, যা বাদশার ফিল্মি কেরিয়ারে অন্যতম মাইলস্টোন হয়ে রইল। যদিও ‘স্বদেশ’, ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ থেকে ‘মাই নেম ইজ খান’-এর মতো একাধিক ছবিতে ছক ভেঙে ধরা দিয়েছিলেন কিং, তবে শেষমেশ সেইশ সালের জওয়ান সিনেমার জন্যই জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হলেন তিনি। যে ছবি ঘুণ ধরা সিস্টেমের খোলনলচে বদলে দেওয়ার দাবি রেখেছে। সিনেমার মাধ্যমেই দর্শকদের বিবেচনা করে ভোট দেওয়ার পাঠ দিয়েছে। আদ্যোপান্ত কমার্শিয়াল মোড়কের সিনেমা হলেও জওয়ান কিন্তু রাজনৈতিক শিবিরেও তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। আর সেই ছবি বাদশাকে এনে দিল জাতীয় পুরস্কার।
একটি ভিডিও শেয়ার করে শাহরুখের মন্তব্য, “আমি কৃতজ্ঞ, গর্বিত এবং অভিভূত। জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হওয়া এমন একটি মুহূর্ত, যা আমি আজীবন লালন করব। জুরি সদস্য, চেয়ারম্যান, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং যাঁরা আমাকে এই সম্মানের যোগ্য বলে মনে করেছেন, তাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ।” সেই ভিডিওতেই ভক্তদের উদ্দেশে রসিকতা করে কিং খানকে বলতে শোনা যায়, “আমি হাত বাড়িয়ে তোমাদের সঙ্গে এই ভালোবাসা ভাগ করে নিতে চাই কিন্তু আমি তো খানিক অসুস্থ। তবে চিন্তা করো না, শুধু পপকর্ন প্রস্তুত রাখো, আমি খুব শিগগিরি প্রেক্ষাগৃহে আসছি। এবং পথেঘাটেও দেখা হবে তোমাদের সঙ্গে। তাই ততক্ষণ পর্যন্ত, কেবল এক হাতেই উদযাপন হোক।”