নাসিম রুমি: ‘পিপলস চয়েস বিভাগে’ শীর্ষ অবস্থানে উঠানামা করে দৃষ্টি কেড়েছিলেন ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তানজিয়া জামান মিথিলা।
চূড়ান্ত পর্বে সেরার মুকুট অধরা থাকলেও সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে শুক্রবার ঘোষণা করা হয় ৭৪তম ‘মিস ইউনিভার্সের’ ফলাফল। বিশ্বের ১২০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে শীর্ষে আসেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ।
এদিকে ‘পিপলস চয়েস’ বিভাগে কখনো প্রথম, কখনো দ্বিতীয় অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যান মিথিলা। এছাড়া তার পোশাক, সাজ, গয়না নিয়েও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নজর কাড়েন মিথিলা।
ফলাফল ঘোষণার পর এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, “আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যেহেতু এটি একটি প্রতিযোগিতা, এর চূড়ান্ত ফলাফল থাকবেই। তবে আমি বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিহাস তৈরি করেছি, সেরা ৩০-এ বাংলাদেশের নাম এসেছে। আমার হাত ধরে এই যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও কেউ এই যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাকে সাপোর্ট ও ভালোবাসা দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ কর্তৃপক্ষ ফেইসবুকে এক পোস্টে লিখেছে, “এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার মুহূর্ত। অভিনন্দন মিথিলা এবং ধন্যবাদ সব সমর্থককে।”
‘মিস ইউনিভার্সের’ এবারের আসরে ১৯ দিনব্যাপী কার্যক্রমে প্রতিযোগীরা ক্যাম্পিং করেছেন ব্যাংকক, ফুকেট, পাতায়াসহ থাইল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে। অংশ নিতে হয়েছে পিপলস চয়েস ভোট, সিলেকশন রাউন্ডসহ নানা পরীক্ষায়।
এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন মিস থাইল্যান্ড প্রাভিনার সিং। তৃতীয় হয়েছেন মিস ভেনেজুয়েলা স্টেফানি আবাসালি। তাদের পরের অবস্থানে রয়েছেন মিস ফিলিপিন্স মা আহতিসা মানালো ও মিস আইভরি কোস্ট অলিভিয়া ইয়াস।
মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু মিথিলার। ২০১৯ সালে ‘ফেইস অব বাংলাদেশ’ ও ‘ফেইস অব এশিয়া’তে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এরপর ২০২০ সালেও তিনি ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ জিতেছিলেন, তবে কোভিড মহামারীর বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। চলতি বছরে ফের ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হয়ে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মিথিলা।
ফ্যাশনের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন তিনি। কাজ করেছেন হিন্দি সিনেমাতেও। তার বলিউডে অভিষেক হয় ২০১৯ সালে ‘রোহিঙ্গা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। সোশাল মিডিয়ায় তার লাইফস্টাইল ও উপস্থিতি যেমন তাকে জনপ্রিয় করেছে, তেমনি কখনো কখনো বিতর্কও তৈরি করেছে।
