হাঁপানি ও ক্যান্সারের উপসর্গের মধ্যে মিল থাকায় বিভ্রান্তি হতেই পারে। শ্বাসকষ্ট, শ্বাসে সাঁসাঁ শব্দ, অল্পেই ক্লান্তি—এগুলো হাঁপানির মতোই ক্যান্সারের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। তবে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, দীর্ঘ চিকিৎসা বা নিয়মিত ওষুধেও উপসর্গ কমতে চায় না।
শীতকালে ও দূষণ বাড়লে ফুসফুসের সমস্যার প্রকোপ বেড়ে যায়। ফলে সাধারণ লক্ষণও কখন গুরুতর হয়ে উঠছে, তা বোঝা কঠিন হয়। যদি বুকের নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যথা, দীর্ঘদিন ধরে কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত, অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও ক্রমাগত শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসক সাধারণত কিছু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।
প্রয়োজন হতে পারে বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান, যাতে ফুসফুসে কোনো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রয়েছে কি না দেখা যায়। তাতেও নিশ্চিত হওয়া না গেলে ব্রঙ্কোস্কোপি করা হয়।
এই পরীক্ষায় ফুসফুসের বায়ুনালি ভালোভাবে দেখা যায় এবং প্রয়োজনে বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার নির্ণয় করা সম্ভব হয়। রক্ত পরীক্ষাসহ আরও আধুনিক বিভিন্ন পরীক্ষাও প্রয়োজন হতে পারে, চিকিৎসক পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। শুধু ক্যানসার নয়, অবহেলা করলে হাঁপানিও জীবননাশের কারণ হতে পারে। তাই সতর্কতা জরুরি।
