বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফল কলা। সারাবছর সহজলভ্য ও তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাওয়ায় পুষ্টিকর ফলটি সবার কাছেই বিশেষ গুরুত্ববহ। তবে, কিছু মানুষ কলা খাওয়া এড়িয়ে যান। তারা মনে করেন, এটি সর্দি-কাশি বাড়ায়। অন্যদিকে, কিছু মানুষ বলেন, এই ফলের সঙ্গে ঋতুজনিত অসুস্থতার কোনো প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক নেই। এই ধরনের বৈচিত্র্যময় মতামত আমাদের প্রায়ই বিভ্রান্ত করে। তবে আসল ঘটনা কি? কোনটা সত্য?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা অত্যাবশ্যকীয় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও বেশ কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ। আর আয়ুর্বেদের দৃষ্টিতে এটি ‘শীতল’ প্রকৃতির খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। যা শরীরের বাত, পিত্ত ও কফ এই তিনটির ওপর প্রভাব ফেলে।
বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বিএন সিনহা বলেছেন, ‘কলা অতিরিক্ত খেলে প্রায়ই সর্দি, কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এই পরিস্থিতি সাধারণত তখনই ঘটে, যখন আপনি খুব বেশি পরিমাণে কলা খান।’ অর্থাৎ, পরিমিত পরিমাণে খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার শঙ্কা থাকে না।
অন্যদিকে, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, কলায় এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যা ‘ব্যানানা লেকটিন’ নামে পরিচিত। এই প্রোটিনের ক্ষমতা রয়েছে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার। একই সঙ্গে ভাইরাসকে কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। যা ইঙ্গিত দেয়, সর্দি-কাশি ও ফ্লুর মতো বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগের জন্য এন্টিভাইরাল ওষুধ তৈরিতে এবং চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে কলা সহায়ক হতে পারে।
শুধু তাই নয়, একাধিক প্রতিবেদনে সর্দি-কাশি ও পাকস্থলির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য কলা খাওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
