দাম্পত্য কলহের রাগ করে আমগাছের মগডালে চড়ে বসেন এক গৃহবধূ। দীর্ঘসময় ধরে তিনি নামতে অস্বীকার করায় শেষ পর্যন্ত খবর দেওয়া হয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। পরে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গাছ থেকে নিরাপদে নামিয়ে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকালে (৯ নভেম্বর) পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে ওই গ্রামের গৃহবধূ তামান্না ও তার স্বামী মিজানুর রহমানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঝগড়ার একপর্যায়ে ক্ষোভে তামান্না ঘর থেকে বেরিয়ে যান এবং পাশের ক্ষেতের একটি আমগাছে চড়ে বসেন।
তামান্নার স্বামী মিজানুর রহমান কক্সবাজারের একটি ফার্মে হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করেন।
প্রথমে স্থানীয়রা এটিকে সামান্য অভিমান ভেবেছিলেন এবং আশা করেছিলেন তামান্না দ্রুতই নেমে আসবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি গাছেই বসে থাকেন। এ সময় কেউ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, আবার কেউ এই অভিনব ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবং গৃহবধূর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কয়েকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
রুহিয়া থানার পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিরাপদে গৃহবধূকে গাছ থেকে নামিয়ে আনেন। তিনি বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে ওই গৃহবধূ গাছে উঠে বসেছিলেন।
তামান্নার স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে সংসারে অশান্তি চলছে। গাছ থেকে নামার পর সে বাবার বাড়ি চলে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। কি আর বলার আছে?
রুহিয়া থানার ওসি একেএম নাজমুল কাদের বলেন, এই ঘটনাটি পারিবারিক কলহ থেকেই সৃষ্টি । তবে এ বিষয়ে কাউকে গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
