রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, আতিকুল ইসলাম, আ ক ম সারেয়ার বাদশাকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও মুগদা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
অন্যা আসামিরা হলেন, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি সাদেক খান ও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
মামলাগুলোর মধ্য, মোহাম্মদপুর থানার শাহরিয়ার হোসেন রোকন হত্যাচেষ্টা মামলায় আনিসুল, সালমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আতিকুল ইসলাম ও সাদেক খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
এছাড়া মুগদা থানাধীন আইনজীবী আব্দুল আছেত শামীম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে আনিসুলসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ময়ূর ভিলার রাস্তায় বেলা ১১ টায় আন্দোলনে অংশ নেন শাহরিয়ার হোসেন রোকন। এ দিন আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার বাম পায়ে লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গত ৩ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়।
সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল আছেত শামীম আদালতের কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মুগদা থানাধীন বাবু ডাক্তারের গলিতে আসামির ছোঁড়া রাবার বুলেট তাঁর হাতে,কপালে, বুকে, চোয়ালে, পেটে লাগে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পুনরায় শরীরে জটিলতা দেখা দিলে ২০ আগস্ট মুগদা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। গত ১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মুগদা থানায় মামলা করেন। মামলায় সায়েদুল হক সুমন ২৫ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।