যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হামলার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। তেহরান জানিয়েছে, তাদের পরমাণু বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পুনর্গঠনের যেকোনো প্রচেষ্টায় বাধা দিলে তার ফল হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।
মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এক বার্তায় বলেন, যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে অত্যন্ত কঠোর। যাতে শত্রুদের অনুশোচনা করতে হবে।
ফ্লোরিডায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বৈঠকের পর এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মার-আ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, ইরান যদি পুনরায় তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে তবে যুক্তরাষ্ট্র আবারও তাদের ওপর বড় ধরনের আঘাত হানবে। বিশেষ করে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং পারমাণবিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দেন তিনি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, ইরান গোপনে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে যা জুনের যুদ্ধে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। তবে ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন এবার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকেও তাদের লক্ষ্যবস্তু করার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর আগে মূলত পারমাণবিক কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
এদিকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৮০-র দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ এবং জটিল বলে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, ইরান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জুনের যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও ইরানি কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের সেনাবাহিনী এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী এবং যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম। দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের এমন বিপরীতমুখী অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে আবারও বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা জাগিয়ে তুলছে।
