সিলেট ব্যুরো,নিরাপদ নিউজ: জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসরেও জিতলো রংপুর।প্রথম আসরের মতো দ্বিতীয় আসরেও শিরোপা উঠল উত্তরের এই দলের হাতে। ফাইনালে খুলনাকে তারা ৮ উইকেটে হারিয়েছে।আরও একবার শিরোপা জিতে নাসির হোসেন, আকবর আলী, আর নাঈম হাসানরা মিলে আবারও দেখালেন দল হিসেবে রংপুর কতটা পরিপূর্ণ।
যদিও লিগ পর্বে তিনটি হার ছিল তাদের।কিন্তু নক আউটে তারা যেন বদলে যাওয়া এক দল—আত্মবিশ্বাসে, আগ্রাসনে, জয়ের অভ্যাসে।
১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটা ছিল আগ্রাসীর মতো। উদ্বোধনী জুটিতে ৭ ওভারে ৬১ রান তোলেন নাসির ও জাহিদ জাভেদ। ২৪ বলে ২৭ করে ফেরেন জাহিদ। অন্যপাশে চলতে থাকে নাসিরের ব্যাট। ফিফটির খুব কাছে গিয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৩১ বলে ৪৬ রান করেন নাসির। এরপর ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আকবর আলী ও নাঈম ইসলাম। সাঈম ৪০ ও আকবর ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনার ইনিংসটা শুরু ছিল দুঃস্বপ্নময়। দ্বিতীয় বলেই ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ ইমরানুজ্জামান—নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে স্লিপে অনিক সরকারের হাতে ধরা।
পরের দৃশ্য আরও বিব্রতকর। সৌম্য সরকারের আহ্বানে রান নিতে গিয়ে এনামুল হক বিজয় রান আউট। তিন বল পরই সৌম্য বোল্ড।খুলনার ব্যাটিং লাইনআপ তখন টলমলে। আফিফ হোসেন (১০ বলে ১৪) একটুখানি ঝলক দেখিয়ে ফিরলেন, শেখ পারভেজ জীবনও টিকলেন না। এক্সট্রা কাভারে তুলে মারতে গিয়ে আউট।শেষ দিকে লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মিঠুন আর মৃত্যুঞ্জয়।
দুজনের ৪৪ রানের জুটি কিছুটা আশার আলো জাগালেও, আলাউদ্দিন বাবুর তেজি বোলিংয়ে সেই আলোও নিভে যায়। ডিপ মিড উইকেটে রাফিউজ্জামানের হাতে ধরা পড়েন মৃত্যুঞ্জয় (১৩ বলে ২৪)। এরপর ১৮তম ওভারে আব্দুল্লাহ আল মামুন পরপর দুই বলে তুলে নেন মিঠুন (৩২ বলে ৪৪) ও অভিষেক দাসকে।
শেষ দিকে নাহিদুল ইসলাম (৭ বলে ১১) আর জিয়াউর রহমান (৯ বলে ৯) চেষ্টা করলেও খুলনার ইনিংস থেমে যায় ১৩১ রানে। ফাইনালে ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী।