যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন জসিম আল–থানি। কাতারের দোহায় গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার পর দুই নেতার এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার দোহায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের নেতাদের বৈঠকে ইসরায়েলি হামলায় কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও হামাসের পাঁচ সদস্য নিহত হন। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব নিয়ে হামাস নেতারা আলোচনায় বসেছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই কাতারের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে ব্যস্ত কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে তার নৈশভোজ ও বৈঠকের কথা রয়েছে। এর আগে হোয়াইট হাউসে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আল–জাজিরার সাংবাদিক কিম্বারলি হালকেত জানিয়েছেন, সেখানকার আলোচনায় দোহায় ইসরায়েলি হামলা ও যুক্তরাষ্ট্র–কাতার নিরাপত্তা সমঝোতা প্রধান বিষয় ছিল।
ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘খুবই অসন্তুষ্ট’। তার মতে, এ ধরনের হামলা ইসরায়েল–হামাস শান্তি প্রক্রিয়াকে পথচ্যুত করতে পারে। উপসাগরীয় দেশ কাতারকে ওয়াশিংটন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে দেখে। দোহার বাইরে আল–উদেইদ মার্কিন বিমানঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি।
তবে কাতারের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র–কাতার সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কিম্বারলি হালকেত। তাই দুই দেশই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সমাধান খুঁজছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে শেখ মোহাম্মদ বিন জসিম আল–থানির নৈশভোজের সঠিক সময় ও স্থান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বর্তমানে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে অবস্থান করছেন।