সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনীতিতে বিশেষ করে দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরে এবং এর ফলাফলের পরে অনেকেই খুব বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি যেভাবে দেখি সেটা হচ্ছে যে বিভ্রান্তির এখানে কোনো সুযোগ নেই। এটাই হওয়ার কথা কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলো তারা রাজনীতির চাইতে অন্যদিকে অনেক বেশি মনোযোগী।
তারা রাজনীতিটা বোঝার চেষ্টা করেন না— অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক এমনকি বিশ্ব রাজনীতিও না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে নির্বাচন চেয়েছে। কে কিভাবে কখন তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে সেটা সবারই কম বেশি জানা। জাতীয় নির্বাচন আগে হলে আজকে যে ফলাফলটা হয়েছে সেটা ভিন্ন রকম হতো।অনেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন, অনেকে নানা রকমের অভিযোগ করেছেন— তার কিছু কিছু সত্য। মূল কথা হচ্ছে যে এটা ঠিক যারা বিজয়ী হয়েছেন তারাই বিজয়ী হয়েছেন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। এই নির্বাচনের ফলাফল, বাস্তবতা মেনে নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলোর জন্যে, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর জন্যে অত্যন্ত জরুরি এবং এটা বিশ্লেষণও তাদের জন্য জরুরি যে কেন এটা হলো!’
জিল্লুর আরো বলেন, ‘রাজনীতিটা শুধু জনসমর্থনের ওপর নির্ভর করে না। জনসমর্থন গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে কিন্তু রাজনীতিতে স্ট্র্যাটেজি, ট্যাকটিস এটা একটা কৌশলের ব্যাপার। রাজনীতিতে আরো স্টেকহোল্ডার আছে।