গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আইনকে সম্মান জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা, নেতা-কর্মীর আস্থাভাজন, ৩২-গাইবান্ধা, ৪- গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সংগ্রামী সফল সভাপতি জননেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ আরো ৩২ আসামী জামিন পেয়েছেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক তৌকির হাসান রচি গ্রেপ্তারের পর ফুসে উঠেছিলো গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের নেতা কর্মীরা।
তৌকির হাসান রচিকে থানা পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাত দুটার দিকে মায়ামনি মোড় থেকে আটক করে। তার মুক্তির দাবীতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে একটি বিরাট বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। এর পরেই উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয়ে ছবি ভাংচুরের অভিযোগ করে পৃথক দুটি মানববন্ধন করে। পরে সাবেক যুবলীগ নেতা আলতামাসুল ইসলাম প্রধান (শিল্পী) বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সংগ্রামী সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে ১ নং আসামী করে আরও ৩২ জনকে আসামী এবং অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আজ ০৮ মার্চ ২০২১ সোমবার সকাল ১১ টায় আবুল কালাম আজাদসহ বাকী আসামীরা গোবিন্দগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবিদের নিয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক পার্থ ভদ্র সকল আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পেয়ে শতশত নেতা-কর্মীদের নিয়ে আদালত চত্ত্বর থেকে বেড়িয়ে আসেন জননেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এসময় তিনি নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনকে কুলষিত করার জন্য একটি চক্র উপজেলা আ’লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। যারা উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নিবেদিত প্রান শুধু তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা করে নেতা-কর্মীদের দাবিয়ে রাখা যায় না।