বরগুনার আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসকে পেছন থেকে আর একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে ইঞ্জিনবক্সে বসে থাকা যাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেহেনা (২৭) বাস থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে নিহত হয়েছে। এতে ২ শিশুসহ আরো চারজন যাত্রী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমতলী থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাস মেহেলী পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১১-০১-০৮) সকাল ১০টায় শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যাত্রী ওঠানামানোর জন্য দাঁড়ায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী গলাচিপা থেকে ছেড়ে আসা অপর আর একটি যাত্রীবাহী বাস নিশাত পরিবহন ঘটনাস্থলে এসে থামানো বাসটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। সে সময় মেহেলী পরিবহনের ইঞ্জিনবক্সে বসে থাকা যাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেহেনা তার শিশুকন্যা রিয়া মনিকে নিয়ে বাস থেকে ছিটকে গেট দিয়ে সড়কে পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
নিহত যাত্রী রেহেনা বেগম উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের আফজাল বেপারীর স্ত্রী। সে ডাক্তার দেখাতে পটুয়াখালী যাচ্ছিল। এতে আহত হয়েছে নিহতের শিশুকন্যা রিয়া মনি (৩), অপর যাত্রী নূরজাহান বেগম (৫২), পিয়ারা বেগম (৫০) ও তার নাতি শিশু খাদিজা (৫)। এদের মধ্যে শিশু রিয়া মনির অবস্থা গুরুতর।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। আহত দুই শিশুসহ অন্যান্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। ঘাতক যাত্রীবাহী বাসটির চালক হেলপার বাসটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করার চেষ্টা অব্যাহত।