পাস্তা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি শক্তি জোগায়, সহজে হজম হয়, আর সবজি ও প্রোটিন যোগ করলে পূর্ণাঙ্গ খাবারে পরিণত হয়। এটি খাওয়ার চল আমাদের দেশে খুব বেশিদিন আগের নয়। এখনও বেশিরভাগ বাসায় মনে করা হয় এটি বানানো জটিল কিছু। আবার পাস্তা দেখে নুডুলসের সঙ্গে এর পার্থক্যও জানতে চান অনেকে।
পাস্তার উৎপত্তি মূলত ইতালিতে। এর আকৃতিভেদে নানা রকম নাম আছে- পেন্নে, ফুসিলি, স্প্যাগেটি, লাসাগ্না ইত্যাদি। সেদ্ধ করার পর সাধারণত সস (টমেটো সস, হোয়াইট সস, ক্রিমি সস) দিয়ে রান্না হয়।আর নুডুলসের উৎপত্তি চীন ও পূর্ব এশিয়ায়। এর উপকরণ সাধারণ গমের আটা, চালের গুঁড়া বা স্টার্চ (কখনো ডিমও ব্যবহার হয়)। রান্নার পদ্ধতি হিসেবে সেদ্ধ/ভাজি/স্যুপে ব্যবহার করা হয়। ফলে দুটো দুই রকমের খাবার। আসুন জেনে নিই কীভাবে বাসাতেই বানাবেন মজাদার পাস্তা।
উপকরণ
পাস্তা– ২০০ গ্রাম
দুধ– ১ কাপ
ফ্রেশ ক্রিম– আধা কাপ (না থাকলে দুধের সাথে ১ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে)
মাখন– ২ টেবিল চামচ
রসুন কুচি– ১ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি– আধা কাপ (ঐচ্ছিক)
কুচি করা চিজ– আধা কাপ (মোজারেলা/চেডার যেটা পাওয়া যায়)
লবণ– পরিমাণমতো
গোলমরিচ গুঁড়া– আধা চা চামচ
ওরিগানো/চিলি ফ্লেক্স– সামান্য (ঐচ্ছিক)
সবজি (যেমন ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, গাজর, মাশরুম)– ১ কাপ হালকা সেদ্ধ বা ভাজা
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে পানিতে লবণ ও সামান্য তেল দিয়ে পাস্তা ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। প্যাকেটের নির্দেশনা মতো সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
সস তৈরি করার জন্য প্যানে মাখন গলিয়ে রসুন ও পেঁয়াজ হালকা ভাজুন। দুধ দিন, ফুটতে শুরু করলে ক্রিম যোগ করুন। লবণ, গোলমরিচ, ওরিগানো দিয়ে মিশিয়ে নিন। ঘন হতে শুরু করলে চিজ মেশান।
এর পরের স্টেজে সবজি ও পাস্তা মিশাতে হবে। সসের মধ্যে সিদ্ধ পাস্তা ও সবজি দিন। ভালোভাবে মিশিয়ে ২ মিনিট ঢেকে রাখুন যাতে পাস্তা সস শুষে নেয়। গরম গরম পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য চিজ ও চিলি ফ্লেক্স ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
পাস্তার পুষ্টিগুণ
পাস্তা শুধু মজাদার খাবার নয়, এতে কিছু ভালো পুষ্টিগুণও আছে—তবে এটি কীভাবে বানানো হয় এবং কী উপকরণ যোগ করা হয় তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে।এতে একইসঙ্গে ক্যালরি মিলবে, কার্বোহাইড্রেটের অভাব দূর হবে। প্রোটিন (চিকেন, ডিম, টোফু), ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলসও (ব্রোকলি, গাজর, মাশরুম, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি) পাবেন।