ডায়াবেটিস
ক্রনিক কিডনি ডিজিজের অন্যতম মূল কারণ হলো ডায়াবেটিস। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে ডায়াবেটিক নেফরোপ্যাথি। গবেষণা বলছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এন্ড-স্টেজ কিডনির অসুখের মূল কারণ ছিল ডায়াবেটিস।
হাইপারটেনশন
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজের দ্বিতীয় মূল কারণ হলো হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ।
ব্লাড প্রেশার বেশি থাকলে ধমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে কিডনিতে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছায় না, তখন কিডনি বিকল হতে থাকে।
গ্লোমেরিউলোনেফরাইটিস
এই পরিস্থিতিতে কিডনিতে থাকা গ্লোমেরিউলিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। তখন কিডনি দূষিত পদার্থ, ইলেকট্রোলাইট ও তরল ঠিকমতো ছাঁকতে পারে না, যা ধীরে ধীরে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের আকার নেয় এবং শেষপর্যন্ত দেখা দেয় কিডনি বিকল হয়ে পড়ে।
পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ
এটি একপ্রকার জেনেটিক অসুখ, যেখানে কিডনিতে সিস্ট তৈরি হয়। এই সিস্টগুলো তরলে ভরা থাকে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সিস্টগুলো বাড়তে থাকে, দেখা দেয় ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। সেখান থেকে কিডনি ফেলিওর হয়ে থাকে।
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অবস্ট্রাকশন
যখন ইউরিনারি সিস্টেমের কোনো অংশ, যেমন কিডনি, ইউরেটার বা ইউরেথরায় মূত্রের চলাচল ব্যহত হয়, তখন সেটিকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অবস্ট্রাকশন। চিকিৎসা না করালে এর থেকে হতে পারে হাইড্রোপেফরোসিস, যার থেকে কিডনি ফেলিওর হতে পারে।
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের বেশি ব্যবহার
দীর্ঘসময় ধরে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের ব্যবহারে কিডনি ফেলিওর হতে পারে। যেমন—আইবুপ্রোফেন, ন্যাপরোক্সেন ও অন্যান্য ওভার দ্য কাউন্টার পেইনকিলার, অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড ও ভ্যানকোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, সিসপ্লাটিন ও মেথোট্রিক্সেতের মতো কেমোথেরাপি এজেন্ট।
