English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

ইমরানের টানে ৬ বছর পর আবার এসেছেন নিকি, কাল বিয়ে

- Advertisements -

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল সাত বছর আগে। পরিচয় গড়ায় প্রেম-ভালোবাসায়। ছয় বছর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছিলেন নিকি উল ফিয়া। উদ্দেশ্য ছিল প্রেমিক ইমরান হোসেনকে বিয়ে করা। তবে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আবার ফিরে যেতে হয়।

তবে এবার দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের অবসান ঘটিয়ে পারিবারিকভাবে কাল (বৃহস্পতিবার) বিয়ে করতে যাচ্ছেন পটুয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেন ও ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া।

দুই দেশের ভিন্ন ভাষাভাষীর দুজন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম শুরু হয়। সেই সূত্রে ২০১৭ সালে পটুয়াখালীর বাউফলে আসেন নিকি উল ফিয়া। তখন তার বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাকে নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়।

গতকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে আসেন নিকি। পরে ঢাকা থেকে লঞ্চে করে বুধবার (০১ মার্চ) পটুয়াখালী পৌঁছান তিনি। এদিন দুপুরে তিনি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রোট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি দেন। সেখানে বিজ্ঞ আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ‌ সম্পন্ন করে চলে যান বাউফল।

পাত্র বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।

আগামী বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ইমরানের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার তরুণীর বাবা-মায়ের সম্মতিতে বিয়ের তারিখ ও সময় ঠিক করা হয়েছে বলে জানান ইমরানের বাবা।

ইমরান হোসেন বলেন, নিকির সঙ্গে তার সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। নিকি জজকোর্টে এসে বাংলাদেশি আইন মেনে বিয়ের সম্মতি দিয়েছেন। কাল তারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তাদের জন্য দোয়া চেয়েছেন ইমরান।

ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি। আমি স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে থাকতে চাই।’

ইমরানের মা মোসা. বীথি আকতার বলেন, ‘নিকি অন্য একটি দেশ থেকে আমাদের এখানে চলে আসাটি আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।’

জজকোর্টের আইনজীবী মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, নিকি বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে ইমরানকে বিয়ের সম্মতি দিয়েছেন। এরপর কাজীর মাধ্যমে ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন