English

34 C
Dhaka
সোমবার, অক্টোবর ২০, ২০২৫
- Advertisement -

হংকংয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে কার্গো বিমান, নিহত ২

- Advertisements -

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি কার্গো বিমান  রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ে গেছে। এ সময় একটি টহল গাড়িকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি সাগরে পড়ে যায়। গাড়িতে থাকা দুজন গ্রাউন্ড স্টাফ নিহত হন। বিমানে থাকা চার ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই থেকে আসা এমিরেটসের ইকে-৯৭৮৮ নম্বরের কার্গো বিমান স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে বিমানবন্দরের টহল গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় টহল গাড়িতে থাকা দুজন নিহত হন।

ছবিতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি মাঝখান থেকে ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে। বিমানের একাংশ পানিতে ডুবে রয়েছে এবং সেখানে বড় বড় ফাটল দেখা গেছে।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে থাকা চারজন ক্রু জরুরি দরজা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের দেখতে পান এবং উদ্ধার করেন।এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের দাবি, কার্গো উড়োজাহাজটিকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এবং রানওয়েতে বিমানগুলোর জন্য দিকনির্দেশক চিহ্নও রয়েছে।

বিমানবন্দর অপারেশনস নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন ইয়াও জানান, দুর্ঘটনার শিকার টহল গাড়িটি রানওয়ের নিরাপত্তা সীমানার বাইরে একটি সড়কে চলাচল করছিল। সেটি রানওয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্বেও ছিল। িতিনি আরও বলেন, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে ওই টহল গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং গাড়িটিসহ সাগরে পড়ে। গাড়িটি রানওয়েতে ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।

হংকংয়ের পরিবহন দপ্তর তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমিরেটসের মুখপাত্র বলেন, উড়োজাহাজটি হংকংয়ে অবতরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রু সদস্যরা নিরাপদে আছেন এবং বিমানে কোনো পণ্য ছিল না।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বোয়িং ৭৪৭-৪৮১ মডেলের এই কার্গো উড়োজাহাজটি তুরস্কের অ্যাক্ট এয়ারলাইন্স থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল এবং তারাই এটি পরিচালনা করছিল।

হংকং এয়ার অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন অথরিটি (এএআইএ)-এর এক কর্মকর্তা জানান, তারা এখনো সমুদ্র থেকে ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার অর্থাৎ ‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ দুর্ঘটনায় ওই রানওয়ে সারাদিন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিমানবন্দরের বাকি দুটি রানওয়ে সচল রয়েছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আজ সোমবার হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য নির্ধারিত অন্তত ১১টি কার্গো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এটি হংকংয়ের সাম্প্রতিক কয়েক বছরের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

১৯৯৮ সালের জুলাইয়ে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাই তাক থেকে চেক ল্যাপ কক-এ স্থানান্তরিত হওয়ার পর এটি সেখানে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা। ১৯৯৯ সালের আগস্টে এক টাইফুনের সময় চায়না এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান জরুরি অবতরণে বিধ্বস্ত হয়, এতে তিনজন নিহত হন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/bbax
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন