এ কে আজাদ: অনুপ কুমার। অভিনেতা। একজন কৌতুক অভিনেতা। অনুপ কুমারের মতো শিল্পীরা এক সময় চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে, অভিনয়কে ভালোবেসে এজগতে এসেছিলেন। তাদের অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে আমাদের আনন্দ দিয়ে গেছেন। আমরা শত চেষ্টা করলেও তাদের ভুলে যেতে পারবো না।
অভিনয়শিল্পী অনুপ কুমার-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০৮ সালের ২৩ আগস্ট, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। প্রয়াত এই অভিনেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
অনুপ কুমার (অনুপ কুমার ঘোষ) ১৯৪৩ সালের ১ জুন, দিনাজপুরের বালুবাড়ীতে এক হিন্দুপরিবারে জন্মগ্রহন করেন। অভিনয়ের প্রতি আকর্ষিত হয়ে, শৈশব থেকেই মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন অনুপ কুমার।
মঞ্চনাটক থেকে চলচ্চিত্রে আসা অনুপ কুমার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ‘একালের রূপকথা’। ইবনে মিজান পরিচালিত, ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৫ সালে। এই ছবিতে তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
অনুপ কুমার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো- ঘর কি লাজ, গুনাই বিবি, জাহা বাজে শেহনাই, কংগন, বিন্দু থেকে বৃত্ত, জয় বাংলা, দিনের পর দিন, বিধাতা, গান গেয়ে পরিচয়, মা, সেলিম জাভেদ, আল হেলাল, রকি, নালিশ, মেঘ বিজলী বাদল, মানিক রতন, মহানগর, পেনশন, নিশি হলো ভোর, নতুন পৃথিবী, নাগপূর্ণিমা, প্রিন্সেস টিনা খান, গীত, স্বামীর ঘর, স্বাক্ষর, গরীবের প্রেম, লালু মাস্তান, বেদের মেয়ে জোসনা, বাহারাম বাদশা, প্রেমশক্তি, পদ্মা মেঘনা যমুনা, দায়িত্ব, চরম প্রতিশোধ, বাংলার বধূ, ক্যারাটি মাস্টার, ঘাত প্রতিঘাত, অধিকার চাই, মায়ের অধিকার, গোলাগুলি, প্রেমের কসম, ইত্যাদি।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অনুপ কুমার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারেও অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনের প্রচুর নাটকে তিনি অভিনয় করেন এবং একজন নাট্যশিল্পী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন।
অভিনেতা অনুপ কুমার আজ হয়তো আমাদের কাছে বিস্মৃত প্রায়। অথচ অনুপ কুমারের মতো শিল্পীরা এক সময় চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে, অভিনয়কে ভালোবেসে এজগতে এসেছিলেন। তাদের অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে আমাদের আনন্দ দিয়ে গেছেন। আমরা শত চেষ্টা করলেও তাদের ভুলে যেতে পারবো না। তাঁরা বেচেঁ থাকবেন তাদের সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের, ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন অভিনয়শিল্পী অনুপ কুমার ।