English

27 C
Dhaka
সোমবার, মে ৬, ২০২৪
- Advertisement -

ইভটিজিং-হট্টগোলের প্রতিবাদ করায় আলিফকে হত্যা

- Advertisements -

‘রহমানিয়া এলিমেন্টারী স্কুল’ নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় ইভটিজিং ও হট্টগোলের প্রতিবাদ করেন সৈয়দ আলিফ রোহান (২০)। এ সময় আসামিরা আলিফকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।

হুমকি দেওয়ার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে নিজ কলেজে হামলার শিকার হন আলিফ।

Advertisements

খুলনার ফুলতলা উপজেলার এমএম (মোজাম মহলদার) কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র আলিফ হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় নিহত আলিফের বাবা একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার আশুলিয়া থানার গাজীর চট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজন হলেন- তাছিন মোড়ল (২২) ও সাব্বির ফরাজী (২৩)।

Advertisements

বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুক্তা ধর বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। ফুলতলার পায়গ্রাম কসবার বাসিন্দা আলিফের বাড়ির পাশে ‘রহমানিয়া এলিমেন্টারি স্কুল’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। গ্রেফতাররা ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ হট্টগোল করতে থাকলে আলিফ এলাকার অন্য ছেলেদের নিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাছিন, সাব্বির ও শান্ত গাজীসহ অন্যরা আলিফকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

মুক্তা ধর বলেন, গত ৩১ মার্চ সকালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা এমএম কলেজ মাঠে আলিফের ওপর হামলা করেন। সাব্বিরের হুকুমে তাছিন ধারালো ছুরি দিয়ে আলিফের বুকের ডান পাশে আঘাত করেন। এ সময় অন্যরাও বিভিন্নভাবে তাকে আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠীরা আলিফকে উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন