English

25 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪
- Advertisement -

চিত্রনায়িকা একা জামিন পেলেন

- Advertisements -

মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা একার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১ আগস্ট তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হাতিরঝিল থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে তিনদিন করে ছয়দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Advertisements

এর আগে ৩১ জুলাই তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতিরঝিল থানায় দুটি মামলা হয়। নির্যাতনের অভিযোগে তার গৃহকর্মী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। অপর মামলাটি একার বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে করে।

ওইদিন সন্ধ্যায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে চিত্রনায়িকা একাকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে পাঁচ পিস ইয়াবা, পঞ্চাশ গ্রাম গাঁজা এবং অর্ধেক বোতল কেরু মদ জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, একার বাসায় তিন মাস ধরে কাজ করেন এক গৃহকর্মী। এক মাসের বেতন দিলেও দুই মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গেলে ইট দিয়ে আঘাত করে গৃহকর্মীকে আহত করেন নায়িকা একা।

৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই গৃহকর্মী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

Advertisements

সেসময় আহত গৃহকর্মীর দেবর আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাবি গত তিন মাস ধরে নায়িকা একার বাসায় কাজ করতেন। প্রথমে তার বেতন তিন হাজার টাকা হলেও পরবর্তীতে কাজ বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ হাজার টাকা ঠিক হয়। প্রথম মাসের বেতন তিন হাজার টাকা দিলেও গত দুই মাসের বেতন একসঙ্গে চাইতে গেলে নায়িকা একা ভাবিকে ইট দিয়ে আঘাত করেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

আহত গৃহকর্মীর গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদরের হরিণধরা গ্রামে। তার স্বামীর নাম রফিক। বর্তমানে রাজধানীর পূর্ব উলুন রামপুরা বন্ধু নিবাস এলাকায় থাকেন।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের মোবাইল টিমের সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখে, ওই গৃহকর্মী বাসার নিচে বসে কান্নাকাটি করছেন। এলাকার লোকজন বাসা ঘেরাও করে রেখেছে। পুলিশ দরজা ভেঙে একার বাসায় ঢোকে। প্রায় তিন মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করতেন গৃহকর্মী। বকেয়া বেতন দেয়া নিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। তার হাতে, পায়ে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন