English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

দুদকের মামলায় আব্দুল মান্নান আকন্দকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

- Advertisements -

বগুড়ায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) ৩১ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দেন বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ায় দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, এসআইবিএলের ৩১ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। এতে আব্দুল মান্নান আকন্দ অনুপস্থিত থাকার জন্য আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে ওয়ারেন্ট জারি করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

Advertisements

দুদকের করা ৩১ কোটি দুর্নীতির এই মামলায় আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন ব্যাংকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, আতিকুল কবির, মাহবুবুর রহমান, জালিয়াত চক্রের সদস্য আকতার হোসেন, জহুরুল হক, এনামুল হক, মাকসুদুল হক ও ফেরদৌস আলম। আজ আদালতে আব্দুল মান্নান ছাড়া অন্য সবাই উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত ও অপরাধী চক্র যোগসাজশে ব্যাংকের গ্রাহকদের হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার অন্যতম হোতা হিসেবে ব্যাংকের বগুড়া শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শাখার ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাময়িক বরখাস্ত) আতিকুল কবির, বগুড়া শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) মাহবুবুর রহমান জড়িত বলে চিহ্নিত হন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, এই মামলা তদন্তের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শুরু করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আখতার হামিদ ভূঞা। এরপর এ মামলার তদন্ত করেন উপপরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক। পরে ২০১৪ সালের ৪ জুন তিনি আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

Advertisements

পরে দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের (বগুড়া) তৎকালীন উপপরিচালক (বর্তমানে প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত) আনোয়ারুল হককে পুণরায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আনোয়ারুল হক এ ঘটনা তদন্ত করে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ৯ জনের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন। সেই মামলায় চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল আজ।

প্রসঙ্গত, ২৮ ফেব্রুয়ারি আসন্ন বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে আব্দুল মান্নান আকন্দ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্রভাবে মেয়র পদে ‘জগ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় পৌর আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান আকন্দকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন