English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

মহাস্থান মাজারের ৮৪লাখ টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় ৩জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

প্রতারনা ও জালিয়াতি দূর্নীতির মাধ্যমে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহ:) এর মাজার মসজিদ কমিটির প্রায় ৮৪লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংক মহাস্থানগড় শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও মহাস্থানের ২ব্যক্তিসহ ৩জনের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন, রূপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) জোবায়নুর রহমান, সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট পাতিলকুড়ার মোঃ মন্তেজার রহমানের পুত্র।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন, এবং তদন্ত শেষে তিনি পৃথক ২টি অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করেন। পৃথক ওই দুটি মামলার মধ্যে একটি মামলায় ৪৯ লাখ টাকা প্রতারনা ও জালিয়াতি দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, রূপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) জোবায়নুর রহমান, মহাস্থান গ্রামের মৃত আয়েত আলী আকন্দের পুত্র ও মেসার্স জাহিদ কনস্ট্রাকশনের প্রোপ্রাইটর আলহাজ্ব জাহিদুর রহমান এবং মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইয়া রাব্বি স্টোরের স্বত্বাধিকারী ফজলুর বারী ওরফে মন্টু।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় রূপালী ব্যাংক লিঃ শাখায় ‘মহাস্থান মাজার মসজিদ কমিটি’ নামের একটি ৬২০ নম্বর চলতি হিসাব পরিচালিত হচ্ছে। এই হিসাব নিয়ন্ত্রণ করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মসজিদ কমিটির একজন প্রতিনিধি।
ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী এই হিসাব থেকে অন্য হিসাবে টাকা স্থানান্তর করতে হলে হিসাব নিয়ন্ত্রণকারীদের অনুমোদন লাগবে।
উক্ত শাখায় মেসার্স জাহিদ কনস্ট্রাকশনের প্রোপ্রাইটর আলহাজ্ব জাহিদুর রহমানের নামে চলতি ৬০৮ নম্বর হিসাব পরিচালিত হচ্ছে। ওই হিসাবধারী মেসার্স জাহিদ কনস্ট্রাকশনের প্রোপ্রাইটর জাহিদুর রহমানের নামে চলতি ৬০৮ নম্বর হিসাবে মহাস্থান মাজার মসজিদ কমিটির নামে ৬২০ নম্বর হিসাব থেকে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই প্রতারনা ও জালিয়াতি মাধ্যমে ৪৯ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে তৎকালীন ম্যানেজার জোবায়েনুর রহমানের যোগসাজসে মো. জাহিদুরের হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন।
জাহিদুর ওই টাকা একই দিন ব্যাংক থেকে তুলে নেন। ব্যাংকের চেকে জাহিদুর স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। অথচ টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি হিসাবের নিয়ন্ত্রণকারীদের কেউ জানেন না। জালিয়াতির এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমান। ব্যবসায়ী মো. ফজলুর বারী মন্টু।
অপর আরেকটি মামলার এজাহারে জানাযায়, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জুবায়েনুর রহমানের যোগসাজসে ‘মহাস্থান মাজার মসজিদ কমিটি’র ৬২০ নম্বর হিসাব থেকে মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত রস্তম আলীর পুত্র মেসার্স ইয়া রাব্বী স্টোরের স্বত্বাধিকারী ফজলুর বারী মন্টু প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ফজলুরের হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন।
একটি সূত্রে জানাযায়, টাকা আত্মসাতের বিষয় দুটি জানাজানি হলে বগুড়া জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব)। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও ২ জালিয়াতির বিষয় প্রমাণিত হয়।
২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ‘মহাস্থান মাজার মসজিদ কমিটির হিসাব থেকে মোট ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াতি চক্রকে সহায়তা করেছেন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমান।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন