২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। যার সমাপ্তি হয় ৫ আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনর্জাগরণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চলছে মাসব্যাপী নানান অনুষ্ঠানমালা। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় আজ (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পলায়ন উদযাপন, ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ, স্পেশাল ড্রোন ড্রামা ‘ডু ইউ মিস মি?’ ইভেন্ট ছাড়াও দিনভর থাকছে উৎসবমুখর নানান আয়োজন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় আছেন উপস্থাপক জুলহাজ্জ জুবায়ের ও সারা আলম।
দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদযাপন করা হয়। দুপুর ১২টায় ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’র শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তারা একে একে পরিবেশন করে ‘এই দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘আয় তারুণ্য আয়’, ‘জীবনের গল্প’, ‘ওমা আর কেঁদো না’, ‘যাদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’, ‘জারিগান’সহ ইসলামিক সংগীত।
এরপর ‘কলরব শিল্পীগোষ্ঠী’ পরিবেশন করে ‘তোমার কুদরতী পায়ে’, ‘দে দে পাল তুলে দে’, ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা’, ‘ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি’ ও ‘দিল্লি না ঢাকা’।
কণ্ঠশিল্পী নাহিদ পরিবেশন করেন ‘পলাশীর প্রান্তর’ ও ‘৩৬ জুলাই’ গানগুলো। এরপর কণ্ঠশিল্পী তাশফি ‘নোঙর তোল তোল’, ‘তুমি প্রিয় কবিতা’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘চল চল’ ও ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানগুলো পরিবেশন করেন।
আরও সংগীত পরিবেশন করবেন ‘চিটাগাং হিপহপ হুড’, র্যাপার সেজান, ব্যান্ডদল শূন্য, কণ্ঠশিল্পী সায়ান, কণ্ঠশিল্পী ইথুন বাবু ও মৌসুমি, ব্যান্ডদল সোলস, ওয়ারফেজ, বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যান্ডদল এফ মাইনর, কণ্ঠশিল্পী পারশা মাহজাবিন, কণ্ঠশিল্পী এলিটা করিম।
আসর নামাজের বিরতির পর ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ থেকে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল ড্রোন ড্রামা শো ‘ডু ইউ মিস মি?’। ড্রামাটি লিখেছে ‘দ্য অ্যানোনিমাস’। বাংলাদেশ সরকার ও চীন সরকার কর্তৃক যৌথভাবে এই ‘ড্রোন শো’তে প্রায় ২০০০ ড্রোন উড্ডয়নের মাধ্যমে জুলাইয়ের গল্প তুলে ধরা হবে। জুলাইয়ে ঢাকাসহ সারা দেশের ছাত্র-জনতা যেভাবে স্রোতের মতো বেরিয়ে এসে আন্দোলনে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায় এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে- সেই জীবন্ত মুহূর্ত ও স্লোগান এবং গ্রাফিতিগুলো ‘ড্রোন শো’ এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে।
অনুষ্ঠানের শেষার্ধে মঞ্চে উঠবে ব্যান্ডদল ‘আর্টসেল’।