English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

বগুড়ায় সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় মুশফিকুর রহিম

- Advertisements -

বগুড়ায় সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক ২০২০-২০২১ করবর্ষে আয়কর দিয়েছেন ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৫২৭ টাকা। স্থানীয় কর বিভাগের করা সর্বোচ্চ ১০ করদাতার তালিকায় ৩৩ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিমের স্থান হয়েছে পঞ্চমে।
২০০৫ সালে জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পাওয়া বগুড়া শহরের মাটিডালি এলাকার বাসিন্দা মুশফিকুর রহিম আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে তার ব্যবসায়ী বাবা মাহবুব হামিদ তারাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। কারণ বাবা মাহবুব হামিদ তারা নিজে একজন নিয়মিত করদাতা হলেও বগুড়ার সর্বোচ্চ ১০ করদাতার তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ১৫ বছর আগে খেলা শুরু করা মুশফিকুর রহিম ১২ বছর ধরে কর দিয়ে আসছেন। তবে চলতি কর বর্ষের চেয়েও ইতিপূর্বে বেশি আয়কর দিয়েছেন ওয়ান ডে এবং টেস্টে ৭টি করে শতক হাঁকানো মুশফিকুর রহিম। কারণ এর আগের বছরগুলোতে খেলা বেশি হয়েছে, যে কারণে তার আয়ের পরিমাণও বেশি ছিল।
২১৬ ওয়ানডেতে ৬ হাজার ১৭৪ রান করা মুশফিকুর রহিম বগুড়ার সর্বোচ্চ ১০ করদাতার তালিকায় স্থান পাওয়ায় দারুণ খুশি তার বাবা মাহবুব হামিদ তারা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আয়কর দেওয়া একজন নাগরিকের কর্তব্য। কারণ করের টাকায় দেশের উন্নয়ন হয়। আমার ছেলে বগুড়ার সর্বোচ্চ ১০ করদাতার তালিকায় স্থান পাওয়ায় আমি দারুণ অভিভূত।’
আয়কর প্রদানে ছেলের চেয়ে পিছিয়ে থাকায় কেমন লাগছে-এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হামিদ তারা বলেন, ‘আমি তো অতবড় ব্যবসায়ী নই। আমার যা আয় হয় তার ওপর যতটুকু কর ধার্য হয় আমি ততটুকুই আয়কর দিই। তবে ছেলের আয় আমার চেয়ে বেশি হয় বলেই সে আমাকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা আমার জন্য আনন্দের।’
বগুড়ার  সর্বোচ্চ ১০ আয়কর দাতার তালিকায় মুশফিকুর রহিমের ওপরে যারা রয়েছেন তারা হলেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘অনি এন্টারপ্রাইজ’ (১১ কোটি ৭২ লাখ ২৭ হাজার ৩২৫ টাকা), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মাসুমা বেগম’ (৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৬ টাকা), প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পিসিএল প্লাস্টিকস্ (১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা), সিরামিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘এবি সিরামিকস্ (১ কোটি ২৭ লাখ টাকা)।
মুশফিকুর রহিমের চেয়ে কম আয়কর প্রদানকারী অপর পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হলো জয়নাল বিড়ি ফ্যাক্টরি’ (৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা), ঢেউটিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্স (২৯ লাখ ৮৫ হাজার ২৭৭ টাকা), মিষ্টান্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘এশিয়া সুইট মিটস্ (২৬ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা), চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ‘ডক্টরস ক্লিনিক’ (১৪ লাখ ৯০ হাজার ২৮০ টাকা) এবং ওষুধ বিপনন প্রতিষ্ঠান ‘সবুজ মেডিকেল হল (৭ লাখ ১৯ হাজার ৭ টাকা)।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন