জহিরুল ইসলাম মিশু,সিলেট ব্যুরো: সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দল জিতিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঢাকার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি।কিন্তু তারপর ও দলকে জিতাতে পারেননি দলকে।
সকালে ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি। টসের পর ছিল ম্যাচ শুরুর অপেক্ষা। এরপরই সবকিছু বিষাদে রূপ নেয়। মাঠে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে নিলে মারা যান দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পরিচিত কোচ। জাকির মৃত্যু শোকে মুষড়ে পড়েনি ঢাকা।তারপরেও রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা। বোলাররাই ঢাকার জয়ের ভীত গড়ে দেন। ইমাদ ওয়াসিম, সালমান মির্জাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি রাজশাহী। সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দল জিতিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ঢাকার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৭ রানে শান্তকে থামান ইমাদ। দুটি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৮ বলের ইনিংস। রাজশাহীর হয়ে এটাই ছিল কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ বক্তিগত রান। মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নাওয়াজ, তানজিদ হাসান তামিমরা উইকেটে টিকে গেলেও বিধ্বংসী হতে পারেননি। রাজশাহীও পায়নি লড়াইয়ের পুঁজি। ১০০ স্ট্রাইকরেটে ২৬ রান করেন নাওয়াজ। ১ বল কম খেলে ২৪ রান করেন মুশফিক। ১৫ বলে ২০ রান এনে দেন তামিম। ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ইমাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ মাত্র ১৬ রান। সমান ওভার বল করে ১৭ রানে ১ উইকেট নেন সালমান।
৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন নাসির হোসেন। জবাবে ৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ঢাকা। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪২ রানে সাইফ হাসান ও বুসমান খানকে হারায় তারা। এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুনের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। ৩৯ বল খেলা মামুনের অবদান ৪৫ রান। ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। তাঁর সঙ্গী শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। ৫ নম্বরে নেমে ২২ বলে ১৯ রান করেন নাসির।
