English

35 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

অশ্লীল ছবি তুলে চাঁদা দাবি, প্রেমিকাসহ কারাগারে ৪

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

রাজবাড়ীতে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে কথিত প্রেমিকাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেফতাররা হলেন রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার তফাদিয়া গ্রামের খোন্দকার আফজাল হোসেনের মেয়ে তামান্না আক্তার (২৬), সদরের খানখানাপুর বেপারীপাড়ার আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আসাদুজ্জামান লাল (৩৫), লালের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (২৭), রামচদ্রপুর গ্রামের খোকন মোল্লার ছেলে সজিবুল রহমান সবুজ (২৬) ও গোয়ালন্দ উপজেলার তাছলিমা বেগম (২৭)।ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার চরমোহন গ্রামের মাহতাবের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে মোবাইল ফোনে রং নম্বরের সূত্র ধরে তামান্না আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় সাইফুল ইসলামের। এরপর থেকে তাদের নিয়মিত কথাবার্তা চলতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সুবাদে দেখা করতে তাকে রাজবাড়ীতে আসতে বলের তামান্না।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজবাড়ীর নতুন বাজার মুরগির ফার্ম এলাকায় আসেন সাইফুল। সেখানে তামান্না কয়েকজনের সঙ্গে তার পরিচয় করে দেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন তারা। সন্ধ্যার পর সাইফুল বিদায় নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা বললে তামান্নারা থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় শ্রীপুর হর্টিকালচারের সামনে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।

এসময় হঠাৎ একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এসে দাঁড়ায়। সাইফুলকে ইজিবাইকে তুলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানার কল্যাণপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ভাড়া দেওয়া টিনশেড বাড়িতে আটকে রাখেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তামান্না অশ্লীল পোশাক পরে রুমে প্রবেশ করে তাকে জাপটে ধরলে অন্যরা ছবি তোলেন। পরে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

সাইফুল প্রাণে বাঁচতে ও মানসম্মানের ভয়ে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তার চাচা শাজাহান মণ্ডলকে জানান। তিনি বিষয়টি রাজবাড়ী সদর থানাকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভোরে তাকে উদ্ধার করে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন