English

38 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

চকরিয়ায় পিকআপের চাপায় পাঁচ ভাই মৃত্যুর ঘটনায় চালক সাইফুল আটক

- Advertisements -

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবার শ্রাদ্ধ শেষে ফেরার পথে বেপরোয়া গতির পিকআপের চাপায় পাঁচ ভাই মৃত্যুর ঘটনায় পিকআপটির চালক সহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে আটক করেছে র‌্যাব। ঘন কুয়াশার মধ্যে বেপরোয়া গতিতে পিকআপ চালাচ্ছিলেন তিনি।

তবে নিহতদের কেউই পূর্বপরিচিত নন বলে জানিয়েছেন ঘাতক পিকআপের চালক সাইফুল। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও দুই বছর ধরে পিকআপ, চান্দের গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন তিনি।

দুর্ঘটনার পর পিকআপ মালিকের নির্দেশে পালিয়ে থাকার উদ্দেশ্যে আত্মোগোপনে যান সাইফুল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাবার শ্রাদ্ধ শেষে ৯ ভাই-বোন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় ছিলেন।

Advertisements

এ সময় পিকআপের চাপায় ৫ সহোদর অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্বরণ সুশীল (২৪) নিহত হন। এ ঘটনায় আহত তাদের ভাই রক্তিম সুশীল এবং বোন হীরা সুশীল বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দায়ের মামলায় শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পলাতক চালক সহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে (২২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেফতার সাইফুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, ঘটনার সময় তারেক ও রবিউল নামে দুজনকে নিয়ে চকরিয়া থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে সবজি বোঝাই পিকআপ নিয়ে রওনা দেন সাইফুল। তারেক পিকআপের মালিক মাহমুদুল করিমের ছেলে এবং রবিউল তার ভাগিনা। কুয়াশার মধ্যেও দ্রুত সবজি ডেলিভারির উদ্দেশ্যে ৬৫-৭০ কিলোমিটার গতিতে পিকআপ চালাচ্ছিলেন সাইফুল।

কুয়াশা ও অতিরিক্ত গতির কারণে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ৯ ভাই-বোনকে দেখতে না পেরে তাদের চাপা দেন সাইফুল। এরপর তিনি পিকআপ থেকে নেমে নিহতদের দেখতে এলেও মালিকের ছেলে তারেকের নির্দেশে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

Advertisements

পরবর্তীতে চালক সাইফুল পিকআপ মালিককে ফোন করে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান। গাড়িটির মালিক তাকে পিকআপটি কোনো এক স্টপেজে রেখে লোকাল বাসে করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী সাইফুল ডুলাহাজরায় পিকআপটি রেখে বাসে করে চকরিয়ায় গিয়ে মালিকের সঙ্গে দেখা করেন।

এ সময় পিকআপের মালিক মাহমুদুল তাকে অন্তত এক বছর আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দিলে তিনি প্রথমে বান্দরবানের লামার রাবার বাগানে আত্মগোপনে যান। পরে জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে অন্যত্র আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেনে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পিকআপচালক সাইফুলের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও দুই বছর ধরে পিকআপ, চান্দের গাড়ি ও তিন টনের ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালাতেন তিনি। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগে ওই পিকআপটি দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে চালানো শুরু করেন। এর আগে তিনি বান্দরবানের লামায় রাবার বাগানে চাকরি করতেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে সাইফুল জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারের কেউ তার পূর্বপরিচিত নন। মালিকের সঙ্গে এই পরিবারের কোনো পরিচয় আছে কিনা সাইফুল বলতে পারেনি। পিকআপের মালিক ও তার ছেলে, ভাগিনা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি যদি মনে করেন ঘটনায় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা বা অন্য কোনো মোটিভ রয়েছে তাহলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন