কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দাবি-দাওয়ার জেরে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারা উপকূলে নির্মীয়মান তাপবিদুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
১৭ এপ্রিল ২০২১ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেতন ভাতার দাবিতে সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. রাহাত (২৪), রনি হোসেন (২২), আহমদ রেজা (১৮) ও শুভ (২৪)।
নিহত ৪জনের লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার। আরেকজন মারা যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এসময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানান, বেতন-ভাতা নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছিল। সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলছে, সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ প্রকল্প এলাকা ঘিরে ফেলে। ভেতরে পুলিশসহ আটকা পড়েছে ৩/৪শ জনের মতো। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে সেখানে থাকা মাইক্রোবাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন পুড়ে যায়।
ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
২০১৬ সালের এপ্রিলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংষর্ষে ছয়জন নিহত হয়।
বাঁশখালী উপকূলে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে এস আলম গ্রুপ।