English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

যশোরের কেশবপুরে বিএনপি কর্মীদের হামলায় আ’লীগের ১০ জন হাসপাতালে

- Advertisements -

যশোরের কেশবপুরের চিংড়া বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

তবে বিএনপি ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সংঘর্ষে তাদের কোনো কর্মী-সমর্থক জড়িত নয়।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ওই এলাকার ছাত্রদলের কর্মীরা বৃহস্পতিবার যশোরে আনন্দ মিছিলে যোগ দেন। রাতে তারা চিংড়া বাজারে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, কর্মী-সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় আওয়ামী লীগ কর্মী হামিদুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করা হয়। হামলায় আহত আওয়ামী লীগ সমর্থক চিংড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৩৭), মফিদুল ইসলাম (৪৫), শহীদ মোড়ল (৩০), সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আবু শাহীনকে (৩৬) পিটিয়ে আহত করা হয়। রাতেই তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মফিদুল ইসলাম বলেন, তাদের ওপর বিএনপি-জামাতের কর্মী সমর্থকরা এক হয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে দু’পক্ষের কর্মীরা ইট ও বিভিন্ন কোমল জাতীয় পানির কাচের বোতল ছুড়ে মারায় এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের ছেলেরা যশোর থেকে ফিরে আসার পর অতর্কিতভাবে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা এক হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় বেছে বেছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মারধর করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়েছে।

চিংড়া বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রনি পোল্ট্রি ফিডের মালিক হামিদুল ইসলাম বাদি হয়ে শুক্রবার কেশবপুর থানায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কিছু ছেলে চিংড়া বাজার থেকে যশোরে মিছিলে গিয়েছিল। তারা রাতেই এলাকায় ফিরে গেছে। সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রদলের কেউ জড়িত নেই। তাছাড়া এ সস্পর্কে তারা কিছুই জানে না।

সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাস্টার আমানত আলী বলেন, চিংড়া বাজারে সংঘর্ষে বিএনপির কোনো কর্মী-সমর্থক জড়িত নেই। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের দুই নেতার কর্মী-সমর্থকরা ওই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বাজারে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দীন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন