মিয়ানমারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের ফলে আফিম উৎপাদন আবারও দ্রুত বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, দেশটিতে আফিম পপি চাষ গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসি এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরে মিয়ানমারে পপি চাষ বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
২০২৪ সালে যেখানে ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পপি চাষ হয়েছিল, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১০০ হেক্টর।
ইউএনওডিসি বলছে, আফগানিস্তানে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বের অবৈধ আফিমের প্রধান উৎস এখন মিয়ানমার।
সংস্থাটির প্রতিনিধি ডেলফিন শান্টজ বলেন, মিয়ানমার এখন একটি সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। চাষাবাদের বড় ধরনের এই বৃদ্ধি দেখাচ্ছে, কীভাবে আফিম অর্থনীতি আবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং ব্যাপক সংঘাত দেখা দেয়। দেশজুড়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে।
এ অবস্থায় সামরিক জান্তা ২৮ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বহুল সমালোচিত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্ব শান স্টেটে পপি চাষ বেড়েছে ৩২ শতাংশ, চিন স্টেটে বেড়েছে ২৬ শতাংশ, আর দক্ষিণ শান স্টেট এখনও সবচেয়ে বেশি উৎপাদনের অঞ্চল—যা মোট উৎপাদনের ৪৪ শতাংশ।
সবগুলো অঞ্চলেই বর্তমানে সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীদের সংঘাত চলছে।
এ ছাড়া নতুন করে সাগাইং অঞ্চলের উত্তরাংশে ৫৫২ হেক্টর জমিতে পপি খেত পাওয়া গেছে, যা এ অঞ্চলে প্রথমবারের মতো আফিম চাষ শনাক্ত হওয়া এবং এটি আরও বিস্তৃত হচ্ছে ।
