English

29 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

পুরোদমে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা শুরু করাই এখন লক্ষ্য: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

- Advertisements -

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম বলেছেন, করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রামের পরিস্থিতি এক সময় খারাপ ছিল। তবে সে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়েছে। যাদের প্রচেষ্টায় এই পরিস্থিতি অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে, সেসব চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলা এবং আর কী সমস্যা আছে তা দেখার জন্যই মূলত আমার আসা। এর বাইরে সকলেই জানেন যে- করোনার কারণে অন্যান্য রোগের (যেমন- ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য) চিকিৎসাটা অনেকটা থমকে যায়, আমরা সেভাবে চিকিৎসাটা দিতে পারিনি। এখন সে-ই (নন-কোভিড) চিকিৎসা সেবাটা নিশ্চিত করা, যাতে পুরোদমে শুরু করা যায়, সেটাও একটা উদ্দেশ্য।
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক।

মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম চট্টগ্রাম আসলেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম। সড়ক পথে কুমিল্লা-ফেনী হয়ে শনিবার রাতে তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছেন। এরপর রাত ১১টার দিকে তিনি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে জিন এঙপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এসময় জেনারেল হাসপাতালে সদ্য স্থাপন করা সেন্ট্রাল অঙিজেন প্লান্ট ঘুরে দেখেন তিনি।
গতকাল রোববার সকালে চমেক হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম, পরিচালক (এমবিডিসি) অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীম হাসান, উপাধ্যক্ষ ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহানারা চৌধুরী, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল, হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলামসহ অন্যান্য বিভাগের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রজেক্টর প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে হাসপাতালে করোনা রোগীদের সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম তুলে ধরেন হাসপাতাল পরিচালক। করোনা চিকিৎসায় বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়োজিত করায় হাসপাতালের অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিভাগে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েকটি বিষয় জানিয়েছে। যেমন- হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অনেক চিকিৎসককে করোনার চিকিৎসা সেবায় অন্যান্য স্থানে ডেপুটেশনে পদায়ন করা হয়েছে। ওইসব চিকিৎসককে ওখানে তেমন প্রয়োজন হচ্ছে না। আবার তাঁরা চলে যাওয়ায় হাসপাতালে নন-কোভিড রোগের চিকিৎসাটাও ব্যাহত হচ্ছে। তাই এখন তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। যাতে করে অন্যান্য (নন-কোভিড) রোগের চিকিৎসা সেবাটা নিশ্চিত করা যায়।

শীত মৌসুমে করোনার আরেক দফা ঢেউয়ের আশঙ্কা ও এর প্রস্তুতি বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা আছে। কয়েকদিন আগে আমরা ওই কমিটির সাথে বসেছি। দীর্ঘক্ষণ এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। শীতে করোনার ঢেউ মোকাবিলায় তাঁরা কিছু গাইডলাইন তৈরি করছেন। সব গাইডলাইন এ মুহূর্তে স্মরণ নেই। তবে করোনার চিকিৎসায় আমরা কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাসপাতাল ও বিশাল সংখ্যায় বেড প্রস্তুত করেছিলাম। অনেক ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়োজিত করেছিলাম। যার অনেকগুলোই এখন লাগছে না। যার কারণে অনেক জায়গায় কিন্তু এখন জনবলের অপচয় হচ্ছে। কমিটির গাইডলাইন মেনে এসব জনবলের সব উইথড্র না করে সীমিত পরিসরে করোনা চিকিৎসার সুবিধা চালু রাখার কথা ভাবছি। একই সাথে ওই সময়ের (শীত মৌসুমের) জন্য সকলকে এলার্ট রাখতে চাই। যাতে আরেক দফা ঢেউ যদি আসে, এখনকার মতো সকলে মিলে আবারো যেন ঝাপিয়ে পড়ে তার মোকাবেলা করতে পারি।
করোনার টিকা বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, এর মধ্যে যদি আমাদের ভাগ্য ভালো থাকে, যদি টিকা চলে আসে; তবে পৃথিবী যেদিন টিকা পাবে আমরাও সেদিন টিকা পাব বলে আশা করছি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ সজাগ আছেন এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি। সব দিক দিয়ে কাজ চলছে। তাই টিকা আসলেই আমরা পেয়ে যাব বলে আশা করছি। বৈঠক শেষে হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এসময় বেশ কয়জন রোগীর স্বজনের সাথে কথা বলেন তিনি। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে হাটাহাজারীর যান। পরে হাটাহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ পরিদর্শন শেষে গতকাল দুপুরে রাঙামাটির উদ্দেশে রওয়ানা দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন