ইন্দোনেশিয়া প্রায় ১৬.২৩ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ (৯৮৯ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি নতুন অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজে রয়েছে খাদ্য সহায়তা, অবকাঠামো উন্নয়নে অস্থায়ী কর্মসংস্থান, কর ও বিমা সুবিধা, বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের জন্য ইন্টার্নশিপ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা।
অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হার্তার্তো সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের জানান, প্রণোদনা প্যাকেজগুলো ২০২৫ সালের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে কার্যকর হবে এবং কিছু সুবিধা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে।
তিনি জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার চলতি বছর ৫.২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছানোর আশা করছে। সরকার চতুর্থ প্রান্তিকে ১৮.৩ মিলিয়ন পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করবে। এছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ক্যাশ ফর ওয়ার্ক’ কর্মসূচির আওতায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষকে কাজে যুক্ত করা হবে। এ কর্মসূচিতে মূলত গ্রামীণ এলাকার মানুষদের সড়ক ও সেতু নির্মাণের মতো অবকাঠামো প্রকল্পে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হবে।
সরকার ২০২৬ সালে আখ, কফি, কোকো, কাজুবাদাম, জায়ফল ও নারিকেলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের জন্য ৮ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে পুনরোপণ কর্মসূচি শুরু হবে। সরকার আশা করছে, এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১৬ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বছর শেষে ভ্রমণকারীদের জন্য বিমান ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হার্তার্তো।
অর্থমন্ত্রী পুরবায়া ইউধি সাদেও জানান, নতুন প্রণোদনা বাজেট ঘাটতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ২০২৫ সালের বাজেট ঘাটতির সর্বশেষ পূর্বাভাস জিডিপির ২.৭৮ শতাংশ।
গৃহায়নমন্ত্রী মারুয়ারার সিরাইট জানান, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩০ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ ঋণ বিতরণ করবে।
যা নির্দিষ্ট সম্পত্তি উন্নয়নকারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। সরকার এসব ঋণের বার্ষিক সুদের ৫ শতাংশ বহন করবে।
প্রাবোও প্রশাসন প্রতিবছর ৩০ লাখ সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরিই এই প্রণোদনা প্যাকেজের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
