English

37 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
- Advertisement -

নিকলীতে ঝাকে ঝাকে ভেসে আসা মাছ ধরতে হাজারো মানুষের ঢল

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় বেষ্ঠিত উপজেলা নিকলীর কুর্শা মোড় হতে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে হাটু পানিতে দাড়িয়ে ২৬-১০-২০২০ তারিখ সকালে রোদা নদী থেকে স্রোতের পানিতে ঝাকে ঝাকে ভেসে আসা সিলভার মাছ ধরছে স্থানীয় হাজারো মানষ। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে সিলভার মাছ ধরা পড়ছে। এ সময় কুর্শা, পাচঁরুখী, পূর্বগ্রাম, রোদার পুড্ডা, ছেত্রা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝাকি জাল, টেলা জাল, বিন জাল এমন কি খালি হাত দিয়ে পর্যন্ত মাছ ধরতে নামে। মাত্র চার /পাচঁ ঘন্টার ব্যবধানে হাটু পানিতে এখানে ৩০০ থেকে ৩৫০ মন সিলভার মাছ ধরা পড়ে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। এখানে ধরাপড়া সব থেকে ছোট সিলভারটির ওজনও কেজির উপরে। ৩ কেজি, ৪ কেজি ওজনের সিলভার পর্যন্ত ধরা পড়ে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৩০ থেকে ৪০ টি মাছ ধরেছেন এমন লোকের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। ৫ থেকে ১০ টি মাছ ধরেছেন এমন অগণিত, একটি মাছও ধরেননি এমন লোক খুজে পাওয়া যায়নি।
মাছ ধরতে আসা স্থানীয় কয়েকজনের সাথা কথা বলে জানা যায়। বর্ষার শেষ মৌসুমে এই রাস্তায় যখন হাটু পানি থাকে তখন প্রতি বছরই স্রোতের সাথে ২/৩ দিন প্রচুর মাছ ভেসে আসে ট্যাংড়া, গুলসা,টাকি শোল এসব মাছ আমরা প্রতি বছরই ধরি। তবে এই বছরই প্রথম সিলভার মাছের হিড়িক পড়েছে।
নিকলী সদর ইউনিয়নের কুর্শা মোড় হতে গুরই ইউনিয়ের মঠভাঙ্গা পর্যন্ত ৪ (চার) কিলোমিটার লম্বা একটি সাব-মার্চেবল রোড গেছে। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি ৫ মাস পানির নিচে তলিয়ে যায়। বর্তমানে বর্ষার মৌসুম শেষের দিকে তাই রাস্তাটি শুকানোর পথে। কোন কোন জায়গা দিয়ে রাস্তাটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে আবার কোন কোন জায়গায় হাটুপানি এবং তারও নিচে। প্রতিবছরই এই সময়ে রোদানদীর পানি পশ্চিম দিক থেকে এসে প্রবল স্রোতে রাস্তাটি পাড় হয়ে পূর্বদিকে গোড়াউত্রা নদীর দিকে অতিবাহিত হয়। এ সময় পানির সাথে ভেসে আসে ট্যাংড়া, গুলশা, বাইল্লা, পুটি, টাকি, শোল, গজার প্রবৃতি মাছ। তবে এই বছরের তুলনায় অনেক কম।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন