দিনের পর দিন ওজন বাড়ছে, অথচ সময় নেই জিমে যাওয়ার বা দীর্ঘ ব্যায়াম করার? কেবল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেও মনমতো ফল মিলছে না? আপনার জন্য হতে পারে একমাত্র সমাধান—স্কোয়াট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট স্কোয়াট করলে শরীরের জমে থাকা মেদ কমার পাশাপাশি পুরো শরীরেও আসবে দৃশ্যমান পরিবর্তন।
ব্যস্ত জীবনে ব্যায়ামের সময় বের করা কঠিন। কিন্তু গবেষণা বলছে, সময় যত কমই হোক, শরীরচর্চা বাদ দেওয়া উচিত নয়। আর এক্ষেত্রে স্কোয়াট হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর ও সহজ ব্যায়াম। ঘরে বসেই, যেকোনো জায়গায় স্কোয়াট করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু নিয়মিত অনুশীলনের।
কীভাবে করবেন স্কোয়াট?
চেয়ারে বসার ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে হাঁটু ভাঁজ করে নিচের দিকে যান, কোমর ও পিঠ সোজা রাখুন। হাত দুটো সামনে সোজা করে রাখুন। এভাবে উঠা-নামা করুন ৫ মিনিট ধরে।
- পেশির কাজ বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
- বিশেষ করে কোমর ও পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়।
- পিঠ ও কোমরের আকৃতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে, অ্যাবস তৈরি হয়।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে।
- লিপিড মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে ও ফ্যাট কমায়।
- হাঁটা-দৌড়ের ক্ষমতা বাড়ে, ব্যথা বা টান কমে।
কেন স্কোয়াট করবেন?
লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, “রোজকার এই ছোট্ট অভ্যাসটিই হতে পারে বড় পরিবর্তনের সূচনা।” যারা নিয়মিত স্কিপিং বা দৌড়াতে পারেন না, তাদের জন্য স্কোয়াট হচ্ছে এক দুর্দান্ত বিকল্প। শুধু ওজন কমানো নয়, বরং ফিটনেস ধরে রাখার ক্ষেত্রেও স্কোয়াটের ভূমিকা অনন্য।
প্রতিদিন ৫–১০ মিনিট স্কোয়াট করুন। শুরুতে ধীরে করুন, পরে সময় ও সংখ্যা বাড়ান। খালি পেটে নয়, খাবারের অন্তত ১ ঘণ্টা পরে করুন। হাড় বা হাঁটুজনিত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।