English

36 C
Dhaka
শনিবার, মে ৪, ২০২৪
- Advertisement -

আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ

- Advertisements -
নগরীতে থাকা পুকুর-জলাশয় দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভূগর্ভে পানির অনুপ্রবেশ ব্যাহত হচ্ছে। পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। স্থানীয় পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
তাই ২০০০ সালে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইন অনুযায়ী নগরীতে থাকা সরকারি বা বেসরকারি মালিকানাধীন কোনো পুকুরই ভরাট করা যায় না, তাতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না কিংবা ওই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যায় না।
যদি জরুরি কোনো প্রয়োজনে তেমনটি করতেও হয়, তাহলে সে জন্য নির্ধারিত নিয়মে পূর্বানুমতি নিতে হয়। বাস্তব ভিন্ন কথা বলে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর নানা কৌশলে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি মালিকানাধীন পুকুরেরও প্রায় একই হাল হচ্ছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় পুকুর ভরাট করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দুজন উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর জন্য কোয়ার্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এর জন্য ব্যয় করা হচ্ছে আড়াই কোটি টাকা।
সপ্তাহখানেক ধরেই চলছে দুটি ভবন নির্মাণের কাজ। অভিযোগ আছে, এ জন্য রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি, জমির শ্রেণি পরিবর্তনের জন্যও আবেদন করা হয়নি।
জানা যায়, প্রায় এক বিঘা আয়তনের পুকুরটি মাস দুয়েক আগে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে সেখানে কোয়ার্টার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ জন্য পুকুরপারের নারকেল, কাঁঠাল, আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
অথচ পুকুরটির পাশেই উপবিভাগীয় প্রকৌশলীদের জন্য সরকারি কোয়ার্টার রয়েছে। কর্মকর্তারা সেখানে না থাকায় বেশির ভাগ সময় কোয়ার্টারগুলো ফাঁকাই পড়ে থাকে। স্থানীয় লোকজনের প্রশ্ন, তার পরও পুকুর ভরাট ও শতাধিক গাছ কেটে ভবন বানানোর এমন উদ্যোগ কেন? নিয়ম অনুযায়ী জমির শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করে অনুমোদন নিতে হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, সওজ থেকে এ ধরনের কোনো আবেদন করা হলে তদন্তের জন্য আমার কাছে আসত। আমি এখনো কিছু জানি না।
নায়েবকে পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সওজ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেও জানেন না ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অথরাইজড অফিসার জানান, আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য সওজ কোনো প্ল্যান পাস করিয়েছে কি না তাঁর জানা নেই। তারা পুকুর ভরাট করে কিভাবে ভবন নির্মাণ করছে, সেটির খোঁজ নেওয়া হবে।
জলাধার সংরক্ষণ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আমরা আশা করি, পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ করা হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন