English

26 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

আত্মঘাতী প্রক্রিয়া বন্ধ করুন: কুমিল্লায় খাল ও পুকুর ভরাট

- Advertisements -
দেশে নদী, খাল, পুকুর, জলাশয় দখল ও ভরাটের হিড়িক লেগেছে। যে যেভাবে পারছে দখল করছে, ভরাট করছে, স্থাপনা নির্মাণ করছে। প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে এসব খবর আসছে। কিন্তু প্রশাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপের অভাবে সেসব আত্মঘাতী প্রক্রিয়া বন্ধ হচ্ছে না, বরং দিন দিন দখল, দূষণ ও ভরাটের মতো কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একটি খাল দখল করে বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, এটি বহু বছরের পুরনো সরকারি খাল। একসময় খালটি প্রবহমান ছিল। বর্ষায় নৌকা চলাচল করত।
দখল, ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের কারণে খালটি এখন মৃতপ্রায়। গত ২৮ জুন কালের কণ্ঠে প্রকাশিত আরেকটি খবরে বলা হয়, কুমিল্লায় ‘হাতিপুকুর’ নামে আড়াই শ বছরের পুরনো একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। গত দুই দশকে কুমিল্লা শহরের বেশির ভাগ পুকুর ও ডোবা ভরাট হয়ে গেছে। আইনে সরকারি বা ব্যক্তিগত কোনো পুকুর ভরাট করা নিষিদ্ধ।
কিন্তু সে আইনের প্রয়োগ কোথায়? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দপ্তরগুলো এসব ব্যাপারে প্রায় নির্বিকার। শুধু কুমিল্লা নয়, আরো অনেক শহরেই পুকুর ভরাটের হিড়িক লেগেছে। আইন অনুযায়ী পুকুর ভরাট নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। স্থানীয়দের উৎসাহিত করা হয় পুকুরে ময়লা ফেলার জন্য। ময়লায় যখন প্রায় ভরাট হয়ে আসে তখন রাতের আঁধারে কিছু মাটিও ফেলা হয়।
জানা যায়, কুমিল্লায় দুই একর ৩৭ শতকের ‘হাতিপুকুর’ ভরাটের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। সম্প্রতি পুকুরের উত্তর অংশের ১২ শতকের বেশি স্থান ভরাট করা হয়েছে। এর আগেও অনুরূপভাবে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরটি অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
স্থানীয়রা এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। একইভাবে মুরাদনগরে খাল দখলের বিরুদ্ধেও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার খাল দখল ও স্থাপনা নির্মাণের প্রতিকার চেয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আলাদা দুটি লিখিত অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী।
নদী, খাল, পুকুর ও জলাশয় আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর দখল, দূষণ ও ভরাটের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে।
এসব বন্ধে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেসব আইনের প্রয়োগ করবে কে? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ক্ষেত্রে এমন নির্বিকার কেন? আমরা চাই জলাধার সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হোক। কুমিল্লার হাতিপুকুর ও মুরাদনগরের খাল পুনরুদ্ধার করে সেগুলো সংস্কার করা হোক।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন