English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

আর্সেনিক মোকাবেলায় উদ্যোগ নিন: বগুড়ায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

আর্সেনিকের বিষক্রিয়া বাংলাদেশে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৪৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় বা আর্সেনিকোসিসে। দুই কোটিরও বেশি মানুষ এই বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তা সত্ত্বেও আর্সেনিক সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের উদ্যোগ খুবই সীমিত।

প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার উলিপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার গণকপাড়া গ্রামে আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মানুষ এখনো আক্রান্ত। এর পরও গ্রাম দুটির মানুষ বাধ্য হয়ে আর্সেনিকযুক্ত পানিই পান করছে।
১৯৯০-এর দশকের শুরুতে প্রথম বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নলকূপের পানিতে আর্সেনিক পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশে ব্যাপক ভিত্তিতে নলকূপের পানি পরীক্ষা করে। এরপর বাংলাদেশ আর্সেনিক মিটিগেশন ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের পক্ষ থেকেও স্ক্রিনিং করা হয়। এসব পরীক্ষায় ২৭১টি উপজেলার ৫৭ হাজার ৪৮২টি গ্রামে আর্সেনিক বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। ৪৯ লাখ ৫০ হাজার নলকূপ পরীক্ষা করে ২৯ শতাংশেই আর্সেনিক পাওয়া যায়।
২০০৩ সালে বগুড়ার গ্রাম দুটিতেও বেশির ভাগ নলকূপে আর্সেনিকের উপস্থিতি ধরা পড়ে। বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, সে সময় ওই গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীরা জরিপ চালিয়ে ১২১ জন আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য পেয়েছিলেন। তখন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ওই গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত একটি নলকূপ স্থাপন করে দেয়। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি পানির ট্যাংক ও পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। সম্প্রতি ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পানির ট্যাংক ও পানি সরবরাহ লাইন নষ্ট হয়ে আছে। এ বিষয়ে আরডিএর নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের উপপরিচালককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অনেক আগের বিষয়, ফাইল দেখে বলতে হবে। ’ আর বগুড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০০৩ সালে যে জরিপ হয় তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এখন নতুন করে চার উপজেলায় (শিবগঞ্জ, গাবতলী, সারিয়াকান্দি ও ধুনট) জরিপ শুরু হয়েছে। ’ এই হলো প্রধানতম একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা আর্সেনিকোসিস নিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের চিত্র।
চর্মরোগ, ঘাসহ আর্সেনিকোসিসের বহু ধরনের শারীরিক উপসর্গ রয়েছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। গ্রামের দরিদ্র মানুষের পক্ষে এসবের চিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই আর্সেনিকোসিস মোকাবেলায় সরকারকেই ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন