English

39 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

উৎস বন্ধ করতে হবে: নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার

- Advertisements -
বাজারে জাটকা ইলিশের ছড়াছড়ি। এই জাটকা ধরা পড়ে যে জালে তার নাম কারেন্ট জাল। মাছ ধরার বিশেষ ধরনের জাল হচ্ছে কারেন্ট জাল, যার রাসায়নিক নাম ‘মনোফিলামেন্ট ফিশিং নেট’। পরিবেশবিদ ও মত্স্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, মিঠাপানি ও সামুদ্রিক মাছ বিলুপ্ত হওয়ার জন্য এই জালের ব্যবহার দায়ী।
কারেন্ট জালে ২৩ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ মাছ বা জাটকা ধরা পড়ে। জাটকা নিধনের কারণে ইলিশের উৎপাদন সংকটের মধ্যে পড়েছে। ইলিশসহ মত্স্যসম্পদ সংরক্ষণে দেশে কারেন্ট জাল উৎপাদন, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সরকারের জারি করা মত্স্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কারেন্ট জালের উৎপাদন, বুনন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, বহন, মালিক হতে পারবেন না বা ব্যবহার করতে পারবেন না।
আইন ভঙ্গকারী পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা এক থেকে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া মত্স্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৪.৫ সেন্টিমিটার বা তার কম ব্যাস বা দৈর্ঘ্যের ফাঁসবিশিষ্ট জাল বা অনুরূপ ফাঁসবিশিষ্ট অন্য যেকোনো জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু কারেন্ট জাল ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।
এ সময় চলা অভিযানে ১৮১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৪২৩ মিটার জাল জব্দ করা হয়। মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পাঁচ বছরে ৪৭৭ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৭ মিটার জাল জব্দ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
 মত্স্য অধিদপ্তরের ‘বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্ট’ প্রকল্পের এক সমীক্ষায় দেখানো হয়, কারেন্ট জাল উৎপাদন বন্ধ করতে পারলে দেশে অতিরিক্ত সাড়ে তিন লাখ টন ইলিশ উৎপাদন সম্ভব।
ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের।ইলিশ সাগরের তথা নোনা পানির মাছ হলেও ডিম পাড়তে মা-ইলিশ নদীর অপেক্ষাকৃত কম নোনা বা মিঠাপানিতে চলে আসে। বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ দলে দলে নদীতে প্রবেশ করে।
এরপর ডিম ফুটে যে বাচ্চা ইলিশ বেরিয়ে আসে, সেগুলো কিছুটা বড় হলে আবার সাগরের নোনা পানিতে ফিরে যায়। এ সময়টায় এসব উপকূলীয় নদীতে কারেন্ট জাল ফেললে ব্যাপক হারে কেবল মা-ইলিশ ও জাটকা ধরা পড়ে। অতীতে এই সংরক্ষণের কাজটি ঠিকমতো না করায় দেশে ইলিশের রীতিমতো সংকট তৈরি হয়েছিল।

আমাদের জাতীয় সম্পদের সুরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে হবে। কারেন্ট জাল উৎপাদন, বুনন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, বহন ও ব্যবহার বন্ধ করার পাশাপাশি বাজারে জাটকা বিক্রিও বন্ধ করতে হবে।

জালের উৎস ও জাটকা বিক্রির জায়গা বন্ধ করা গেলে জাল ব্যবহার এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন