English

32 C
Dhaka
শনিবার, মে ৪, ২০২৪
- Advertisement -

ঋণ শোধে সময় চায় বিএবি: প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন

- Advertisements -

করোনা মহামারির সময়ে ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়েছিল। তার রেশ এখনো রয়েছে। মহামারির এক পর্যায়ে অর্থনৈতিক লেনদেন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছিল। উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিলেন। তাঁদের উত্তরণের প্রয়াসে সরকার আর্থিক সহযোগিতাও দিয়েছে। সেই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির অবসান ঘটছে ধীরে ধীরে। এ বছরের মধ্যেই তার অবসান হবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আমরাও আশা করছি, শিগগিরই বাংলাদেশ এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।

Advertisements

করোনা মহামারির কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধে সমস্যায় পড়েছেন। এখন অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও ঋণ পরিশোধে তাঁদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঋণ পরিশোধের সময় আরো কিছুটা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

নতুন প্রস্তাবে কোনো ডাউন পেমেন্ট না দিয়ে চলমান সব ঋণ তিন বছর মেয়াদে পুনঃ তফসিলের সুযোগ চায় তারা। আর বিদ্যমান মেয়াদি ঋণ পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাড়তি যে দুই বছর সময় দিয়েছে, তা তিন বছর করারও দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দিয়ে এই অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন গভর্নর।

বিএবির ভাষ্য হলো, করোনার কারণে ঋণের যে কিস্তিগুলো অপরিশোধিত রয়েছে, সেগুলো একসঙ্গে বা একবারে পরিশোধ করা ব্যবসায়ীদের পক্ষে কষ্টকর হবে। তাই তাঁরা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা কিছুটা শিথিল করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁদের প্রস্তাব যদি বিবেচনায় নেওয়া হয়, যদি সঠিকভাবে সমন্বয় করা হয়, তাহলে সেটি সবার জন্যই ভালো হবে।

Advertisements

দেশের অর্থনীতিতে করোনার বিরূপ প্রভাব বিবেচনা করে ২০২০ সালজুড়েই ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধে ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। টানা এক বছর ঋণ পরিশোধ না করলেও ওই বছর কেউ খেলাপি হননি। ২০২১ সালে অবশ্য এই সুবিধা আর বহাল রাখেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি মেয়াদি ঋণ পরিশোধের সময় সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিএবি বলেছে, এই সুবিধার আওতায় স্বল্প সময়ের মধ্যে সব ব্যবসায়ীর পক্ষে ঋণের টাকা শোধ করা কঠিন হবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবগুলো সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। কোনো সিদ্ধান্ত যেন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় ক্ষতির কারণ না হয়ে যায় তা বিবেচনায় রাখতে হবে। আবার কেউ যাতে সুযোগের অপব্যবহার করতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন