English

35 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

কঠোর ব্যবস্থা নিন: উচ্চশিক্ষায় অনিয়ম

- Advertisements -
Advertisements

দেশে প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে যে হারে যোগ্য শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসছে, তাদের সবার জায়গা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় না। আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেও অনেকে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিষয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় না। এই শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই চলে যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Advertisements

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মের মধ্যে আনতে ২০১০ সালে পাস হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন।

এই আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, যাত্রা শুরুর সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে। এই আইন পাস হওয়ার পর স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর দফায় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, এত দিনের পথপরিক্রমায় দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি।
নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকা, গুণগত শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকা, ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বন্দ্ব ও মামলা এবং উপাচার্যসহ গুরুত্বপূর্ণ তিন পদে নিয়োগের ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশের চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।এই চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে কোনো ব্যক্তি নেই। বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষও নেই।

ফলে আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য সাময়িকভাবে ও শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হওয়ায় বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া আরো দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাস ও ভবনে স্থানান্তরে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
নির্ধারিত সময় পার হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না থাকায় কমিশন থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে অন্তত আরো এক ডজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
ইউজিসি বলছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যারা মূলধারায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে, তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে, তাদের সহযোগিতা করা হবে।
ইউজিসি স্বীকার করছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না মানার যে প্রবণতা ছিল, এখন থেকে কঠোরভাবে এসব দেখা হবে। শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি আর সার্টিফিকেট বাণিজ্য করতে দেওয়া হবে না।
আমরা মনে করি, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই আইন মেনে চলা উচিত। আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কঠোর হতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন