English

40 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

কার্যকর ব্যবস্থা নিন: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

- Advertisements -
Advertisements

এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সামান্য কারণেই খুনের ঘটনা ঘটছে। মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে।

প্রকাশিত খবর হচ্ছে, নোয়াখালীতে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

Advertisements

এ সময় আরো চারজন আহত হয়। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর ছেলেসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বগুড়ার আদমদীঘিতে ছিনতাইকারীর হাতে খুন হয়েছেন অটোরিকশাচালক। ময়মনসিংহের ভালুকায় বড় ভাইয়ের দায়ের কোপে মারা গেছে ছোট ভাই। ঝিনাইদহে স্বামীর ছুরিকাঘাতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কয়েক দিন আগে ঢাকার হাজারীবাগের একটি বাসার বাথরুম থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ভবনটিতে বাইরে থেকে খুনি এসেছিল। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরের একটি বাসা থেকে এক দম্পতি ও তাঁদের মেয়ের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত অপরাধমূলক খবরগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, কিশোর-তরুণরাও জড়াচ্ছে অপরাধে। গত বছরের অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধে পটুয়াখালীর রামলক্ষ্মণ গ্রামে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় করা মামলায় ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ জানিয়েছে, নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে এটি একটি বড় ডাকাতদল। সারা দেশে তাদের আরো সহযোগী রয়েছে। এরা আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে খুব দ্রুত মালপত্র লুটে নেয়।
মাত্র এক মিনিটে যেকোনো তালা খুলতে পারে। আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র রয়েছে তাদের। ঢাকাসহ সারা দেশে দৌরাত্ম্য ছিল তাদের। গ্রেপ্তার ডাকাতদের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, সারা দেশে এমন ২৫টির বেশি ডাকাতদলের খোঁজ মিলেছে।
পুলিশ ও র‌্যাবের মাসিক অপরাধমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে দেড় হাজারের বেশি ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটে।
গত এক বছরে এক হাজারের বেশি ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। কিছু কিশোরও আছে তাদের সঙ্গে।
তারা জামিনে বের হয়ে একই কাজে জড়াচ্ছে। সব ধরনের অপরাধেই এখন কিশোর-তরুণদের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে।
শুধু পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা কিছুটা কঠিন। এ ক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভূমিকা জরুরি।
সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এখনই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরো তীব্র হবে।
দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দেবে।
আগামী দিনে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হয়ে যাবে। আমরা চাই, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর আন্তরিকতায় বন্ধ হোক সব অপরাধমূলক তৎপরতা।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন