English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
- Advertisement -

গুচ্ছগ্রামে দুর্বিষহ জীবন: জরাজীর্ণ ঘরগুলো দ্রুত সংস্কার করুন

- Advertisements -
Advertisements

দেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বসতভিটা হারিয়ে অনেক মানুষ গৃহহীন। এসব মানুষের জন্য বড় আশা হয়ে এসেছিল সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প। গোটা দেশে বাস্তবায়িত এ প্রকল্প প্রশংসা কুড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনেক জায়গায় সুফলভোগী মানুষের আশাভঙ্গ হয়েছে বললে ভুল হবে না। সুযোগ-সুবিধার অভাব ও বেহাল ঘরবাড়ির কারণে অনেক আশ্রয়ণ প্রকল্প ছেড়ে চলে যাচ্ছে মানুষ। বিষয়টি দুঃখজনক।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের বড় উদাহরণ হতে পারে খুলনার কয়রা এলাকা। সেখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বসতভিটা হারানো ৪৫০ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল তিনটি গুচ্ছগ্রাম।

Advertisements

চার বছর আগে গ্রামগুলোতে বসবাসও শুরু করে পরিবারগুলো। কিন্তু এরপর পরিবারগুলো একের পর এক ঘর ছাড়তে শুরু করেছে। কারণ, মাথা গোঁজার ঠাঁই মিললেও সেখানে নেই বসবাসের উপযোগী পরিবেশ। নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা, চলাচলের রাস্তা ও বিদ্যুৎ-সংযোগ।

দেশের নানা জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের জীর্ণদশা নিয়মিতই খবরের শিরোনাম হচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলোয়। সবখানে একটি চিত্র বেশির ভাগ দেখা যায়, যেমন সংস্কারের অভাবের কারণে ভিটার মাটি ধসে পড়া, ঘর জরাজীর্ণ হয়ে পড়া, দরজা-জানালা ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি।

কয়রার সদর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামে, মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামে এবং বাগালী ইউনিয়নের শেওড়াপাড়া গ্রামের তিন গুচ্ছগ্রামে একই পরিস্থিতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। এসব গুচ্ছগ্রামের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তা আমাদের হতবাক করে। এমন পরিবেশে কী করে মানুষ বসবাস করতে পারে!

প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয়হীন হওয়া মানুষগুলো গুচ্ছগ্রামে এসেও রেহাই পায় না। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, আম্পান ও ইয়াসের কবলে পড়ে তারা। দীর্ঘদিন নদীর পানিতে ডুবে ছিল ঘরগুলো। দীর্ঘদিন জোয়ারের পানি ওঠানামা করায় ঘরের মাটি ধুয়ে নদীতে চলে গেছে।

ফলে মঠবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামের ১৭০টি ঘরের ১০২টি ঘরই ফাঁকা পড়ে আছে। শেওড়াপাড়া গুচ্ছগ্রামের ৬০টি ঘরের মধ্যে ৪২টি ঘরের মানুষ অন্য স্থানে চলে গেছেন। গোবরা গুচ্ছগ্রামের ২২০টি ঘরের ২২টি ঘরে কেউ বসবাস করেন না।

প্রশ্ন হচ্ছে, সংস্কার করতে না পারলে গুচ্ছগ্রামগুলো রাখার দরকারটা কী? এখন জেলা-উপজেলা প্রশাসন কী করে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন