English

30 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়ান: কিডনি রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে

- Advertisements -
দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।২০২১ সালে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিডনি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৪০৭ জন, ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ৩০৬ জন। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে অনুরূপভাবে।

২০২১ সালে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে মারা গিয়েছিল ৫৪১ জন। আর ২০২২ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ২৭ জনে। হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ খুব কম থাকা, ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষমতা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে হাসপাতালের বাইরেও প্রতিনিয়ত বহু রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।

তা ছাড়া দেশে এখন পর্যন্ত কিডনি রোগ চিকিৎসার প্রধানতম উপায় ডায়ালিসিসের অপ্রতুলতা ও অতিরিক্ত ব্যয় অধিক সংখ্যায় রোগী মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই কিডনি রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ১৯৯০ সালে পৃথিবীতে মোট মৃত্যুর ২৭তম কারণ ছিল দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বা ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (সিকেডি)। ২০১০ সালে এটি মৃত্যুর ১৮তম কারণ হয় এবং ২০২০ সালে পরিণত হয় ১১তম কারণে।

বাংলাদেশে কিডনি রোগের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। অভাব রয়েছে দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য জনবলের। অভাব রয়েছে চিকিৎসাসংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধারও। ২০০৮ সালে কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে বলা হয়েছিল, দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দুই কোটি।

এত দিনে এই সংখ্যা নিশ্চয়ই অনেক বেড়েছে। অথচ সারা দেশে নেফ্রোলজিস্ট আছেন মাত্র ২০০ জন। কিডনি রোগীদের জন্য দেশে একটিমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে শয্যা আছে ১৫০টি।

হাসপাতালটির নেফ্রোলজি বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগী আসে গড়ে প্রায় সাড়ে তিন শ, ভর্তির সুযোগ থাকে ১০ থেকে ১৫ জনের। একইভাবে ইউরোলজি বহির্বিভাগে রোগী আসে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জন, ভর্তির সুযোগ থাকে ১০ জনের। এই অবস্থায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেও প্রতিদিন বহু রোগীকে ফিরে যেতে হয়।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন