English

32.3 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করুন: ফসলহানির শঙ্কায় হাওরের কৃষকরা

- Advertisements -
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ অনেক পুরনো। সারা বছর বসে থেকে বর্ষার আগে আগে কাজ শুরু করা হতো। এরপর পুরো এলাকা পানিতে ডুবে গেলে কাজ না করেই অর্থ ভাগাভাগি করা হতো। এই লুটপাট বন্ধে ২০১৭ সালে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
এতে বলা হয়, বাঁধ এলাকার জমির মালিক ও সুবিধাভোগী কৃষকদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করতে হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, কিন্তু সেই নীতিমালাও মানা হয় না।
গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বছরও কাজ শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। সুনামগঞ্জের ৩৮টি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি।
ঝুঁঁকিপূর্ণ ১৫৯টি ক্লোজারও (বাঁধের ফাঁকা স্থানের গভীর গর্ত) অরক্ষিত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিলম্বে কাজ শুরু হওয়ায় এবং বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কাটায় বাঁধ টেকসই হবে না। ফলে আগাম বন্যায় ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে। পিআইসি গঠনেও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করছে স্থানীয় লোকজন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার ৩৮টি হাওরের বাঁধের প্রাক্কলন শেষ হয় গত নভেম্বরে। ৫৯১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ চূড়ান্ত করে ৭৩৪টি পিআইসি গঠিত হয়। কৃষকদের অভিযোগ, গোপনে তাদের পছন্দমতো লোক নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।
যেসব বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেগুলোর জন্যও প্রকল্প নিয়ে অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। আগাম বন্যা প্রথম আঘাত হানে ক্লোজারে।
সেগুলোতে শুরুতেই বাঁধ দেওয়া দরকার ছিল। অনেক ক্লোজারে কাজ শুরুই হয়নি। ক্লোজারে বাঁধের কাজের অগ্রগতিও মাত্র ৪২ শতাংশ বলে জানা যায়। কাজের এমন ধীরগতির প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে স্থানীয় লোকজন।
দেশের মোট খাদ্য চাহিদার একটি বড় অংশই আসে হাওরাঞ্চল থেকে। এখানকার কৃষকদের প্রধান সহায় হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। কিন্তু বাঁধ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে আগাম বন্যায় প্রায়ই হাওরের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কৃষকদের দুঃখের সীমা থাকে না। বাঁধ নির্মাণে যে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়, এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও তার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। তার পরও লুটপাটের এই খেলা বন্ধ হয় না কেন?
২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ না হলে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন? আমরা আশা করি, বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে এবং অনিয়মের অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/yeee
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন