এতে বলা হয়, বাঁধ এলাকার জমির মালিক ও সুবিধাভোগী কৃষকদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করতে হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, কিন্তু সেই নীতিমালাও মানা হয় না।
গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বছরও কাজ শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। সুনামগঞ্জের ৩৮টি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি।
সেগুলোতে শুরুতেই বাঁধ দেওয়া দরকার ছিল। অনেক ক্লোজারে কাজ শুরুই হয়নি। ক্লোজারে বাঁধের কাজের অগ্রগতিও মাত্র ৪২ শতাংশ বলে জানা যায়। কাজের এমন ধীরগতির প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে স্থানীয় লোকজন।
দেশের মোট খাদ্য চাহিদার একটি বড় অংশই আসে হাওরাঞ্চল থেকে। এখানকার কৃষকদের প্রধান সহায় হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। কিন্তু বাঁধ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে আগাম বন্যায় প্রায়ই হাওরের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কৃষকদের দুঃখের সীমা থাকে না। বাঁধ নির্মাণে যে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়, এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও তার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। তার পরও লুটপাটের এই খেলা বন্ধ হয় না কেন?
২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ না হলে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন? আমরা আশা করি, বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে এবং অনিয়মের অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/yeee