English

39 C
Dhaka
বুধবার, মে ১, ২০২৪
- Advertisement -

নজরদারি বাড়াতে হবে: অনলাইনে প্রতারণা চলছেই

- Advertisements -
আধুনিক বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের কারণে মানুষের জীবনযাত্রায়ও যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মাত্রা। আর এই সুযোগে অনলাইনে প্রতারণার পরিমাণও বাড়ছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।
প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এমনই একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অনলাইনে পার্টটাইম চাকরি ও অ্যাপসে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, ২৫৯টি সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, সাতটি এটিএম কার্ড ও একটি চায়না পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বরে কালের কণ্ঠে ‘৬ মাসে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চীনা নাগরিক’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে দৈনিক ৮০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।
প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়, প্রায় তিন বছর ধরে নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি করে ঋণ ও বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন তিনি।
তাঁকে সহযোগিতা করত কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর- এই ছয় মাসে ‘টিএনএস’ ও ‘বরগাটা’ নামের দুটি অ্যাপ বানিয়ে মোট ৯৯১ ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চীনা নাগরিক ও তাঁর সহযোগীরা।
তথ্য-প্রযুক্তি আজ নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। দেশে-বিদেশে যোগাযোগ সহজ হয়ে গেছে। পাশাপাশি বহু তরুণ-তরুণীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তারা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ই-কমার্সের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। দেশ তথ্য-প্রযুক্তিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে। এত বিপুল সুবিধার পাশাপাশি কিছু সমস্যাও তৈরি হচ্ছে।
ক্রমেই সাইবার ক্রাইম বা তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। অনলাইন প্ল্যাটফরমে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসে প্রতারণা, ঋণ দেওয়া, প্রতারণামূলক অ্যাপ ব্যবহারের মতো নতুন সাইবার অপরাধ বেড়েছে। প্রতারণার নানা কৌশলে বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষ।
তথ্য-প্রযুক্তি যত এগোবে, এর অপব্যবহার কিংবা প্রযুক্তিকেন্দ্রিক অপরাধ ততই বাড়বে। তাই তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনে আমাদের আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী সাইবার স্কোয়াড গড়ে তুলতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোর নানা পর্যায়ের নজরদারির কারণে এরই মধ্যে ছোট-বড় অনেক প্রতারককে আটক করা হয়েছে, কিন্তু তার পরও প্রতারণা থেমে নেই। কাজেই মানুষকেও সচেতন হতে হবে। সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়াতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন